হরিরামপুরের জনসভায় বিপ্লব মিত্রের সাথে কথোপকথনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি অমিত মোহান্ত।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ছাড়াও বালুরঘাট থেকে আন্তঃজেলা রেল যোগাযোগ নিয়ে গত কয়েক দিনে ভোট-প্রচারে গিয়ে একাধিক দাবি করেছেন রাজ্য সভাপতি বালুরঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। বৃহস্পতিবার গৌড়বঙ্গের রায়গঞ্জে দলীয় প্রার্থীর প্রচারে এসে উত্তরবঙ্গের সার্বিক রেল উন্নয়নে তিনি কী-কী করেছিলেন তার খতিয়ান যেমন দিলেন, তেমনই রেল ও বিমানবন্দর তথা যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইসলামপুরে রেল নিয়ে একাধিক দাবি করলেও দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে রেল নিয়ে কিছু বলেননি তিনি। সুকান্তের পাল্টা দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর ‘স্মৃতিভ্রম’ হয়েছে বলেই এ সব বলার চেষ্টা করছেন তিনি।
এ দিন ইসলামপুরের সভায় মমতা বলেন, ‘‘কোন কাজ বিজেপি করেছে যে ওদের ভোট দেবেন? রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কালিয়াগঞ্জ-বুনিয়াদপুর রেল লাইন কে করেছে? মনে পড়ে, আমি একলাখি, গাজল-বালুরঘাট, বালুরঘাট-হিলি করে দিয়েছিলাম।’’ মমতার দাবি, আলুয়াবাড়ি-শিলিগুড়ি রেল লাইন, কাটিহার-রাধিকাপুর-বারসই রেল লাইন মিটার গেজ থেকে ব্রডগেজও তিনিই করেন। উত্তরকন্যা এবং কাঞ্চনকন্যা, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস দিয়েছিলেন। পদাতিক, শতাব্দী এক্সপ্রেস দিয়েছিলেন। এনজেপি-অমৃতসর-অজমের শরিফ কামাখ্যা-দিঘার মতো ট্রেনও। বিজেপিকে খোঁচা দেন ‘বন্দে ভারত’ নিয়ে। মমতা বলেন, ‘‘আপনারা পুরনো ট্রেনকে নতুন রং করে বলছেন সবচেয়ে স্পিড। দুরন্তের নাম তো শুনতে পাচ্ছি না। সবচেয়ে স্পিড (দ্রুত গতির) ট্রেন তো দুরন্তই ছিল।’’ মমতার রেল নিয়ে দাবি প্রসঙ্গে সুকান্তের দাবি, উনি অনেক ঘোষণা করেন ঠিকই, কিন্তু বরাদ্দ কমই করেন। সুকান্ত বলেন, ‘‘স্বল্প ও দীর্ঘ সময়ের স্মৃতি যেতে বসেছে। কালিয়াগঞ্জ-বুনিয়াদপুর লাইন নতুন করে চালু করছি। বালুরঘাট-হিলির কথা বলছেন? ওঁর প্রশাসনই জমি দেয়নি সম্প্রসারণের জন্য।’’
বালুরঘাটে এ দিন ট্রেন নিয়ে কিছু বলেননি মমতা। তবে সম্প্রতি বালুরঘাটে প্রচারের এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বালুরঘাট বিমানবন্দর নিয়ে কটাক্ষের জবাব দেন। বলেন, ‘‘আর এক জন বালুরঘাটে এসে কী বলেছিলেন, বিমানবন্দর করিনি, টাকা কে দিল, জমি কারা দিল?’’