Lok Sabha Election 2024

দলত্যাগ দুই নেতার, লকেট-বিরোধী পোস্টারে অস্বস্তিতে হুগলি বিজেপি

শনিবার রাত ১০টা নাগাদ চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হন রচনা। নীহার ও প্রলয়ের হাতে তিনি তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া ও চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৪ ০৮:৪৬
Share:

রচনার বন্দ্যোুাদ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ বিজেপি নেতার। নিজস্ব চিত্র।

বিজেপির দুই পদাধিকারী তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন শনিবার রাতে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার দুপুরে চুঁচুড়ার বিভিন্ন এলাকায় দলীয় প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসার আগে-পরে, এই দুই ঘটনায় নতুন করে অস্বস্তি বাড়ল হুগলি বিজেপিতে।

Advertisement

তবে, সেই অস্বস্তির কথা সরাসরি স্বীকার না করে বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, ‘‘ও সব দেখে কী লাভ! মোদীর সভায়, কত লোক হয়েছে! চুঁচুড়ায় জনসমুদ্র! কে কী করছে, জানি না। তবে, মানুষ বিজেপিকেই চাইছে।’’

রবিবার, লকেটের সমর্থনে চুঁচুড়া ময়দানে ছিল প্রধানমন্ত্রীর সভা। তার আগে শনিবার রাতেই খাদিনা মোড়ে তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন, বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার তফসিলি মোর্চার সভাপতি নীহার মণ্ডল এবং দলের বাঁশবেড়িয়া মণ্ডল যুব মোর্চার সভাপতি প্রলয় মিত্র। দিন কয়েক আগে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের যে ভিডিযো ক্লিপগুলি (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) ‘ভাইরাল’ হয়, তার একটিতে দলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছিল প্রলয়কে। একটি ক্লিপে লকেটকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আর মাত্র আট দিন চুপ থাকো। কারও পদ যাবে না। কিন্তু এরপরেও যদি ক্ষতি করতে চাও, তা হলে দু’হাত তুলে করতে পারো’। কিন্তু লকেটের কথায় চিঁড়ে যে ভেজেনি, তার প্রমাণ দুই নেতার দলবদল।

Advertisement

শনিবার রাত ১০টা নাগাদ চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হন রচনা। নীহার ও প্রলয়ের হাতে তিনি তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন। নতুন দলে এসে দু'জনেরই অভিযোগ, বর্তমান বিজেপিতে পুরনোদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না। হুগলিতে লকেটের ‘হিটলারি’ শাসন চলছে। তৃণমূল থেকে বিতাড়িত তোলাবাজদের দলে নিয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাই তাঁরা দল ছাড়লেন বলে জানান।

অভিযোগ অস্বীকার করে লকেটের পাল্টা দাবি, দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা কর্পোরেট সংস্থার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ছিল। চলে গিয়ে ভালই হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘মানুষ মোদীজির সঙ্গে আছেন।’’

রবিবার দুপুরে চুঁচুড়ার সিমলাপুল সংলগ্ন এলাকা-সহ একাধিক জায়গায় লকেটের ছবি দিয়ে ‘নিখোঁজ’ পোস্টার পড়ে। যা নিয়ে ফের শোরগোল পড়েছে। সম্প্রতি, হুগলিতে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। তারপর থেকে বসে যাওয়া ‘বিক্ষুদ্ধে’রা ময়দানে নেমেছেন। তারপরেও এ রকম পোস্টার কেন!

লকেটের অভিযোগ, এই কাজ তৃণমূলের। অভিযোগ উড়িয়েছে তৃণমূল। অসিতের দাবি, ‘‘আমরা লকেটে নয়, প্রচারে ব্যস্ত।ওঁকে (লকেট) ৫ বছর দেখেনি। কিন্তু ভোটের সময় বলে চলে এসেছেন। তাই হয়তো বিজেপি কর্মীরাই কিংবা সাধারণ মানুষ পোস্টার মেরে থাকতে পারেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement