—প্রতীকী চিত্র।
এ বার হাওড়ায় বিজেপির নব্য ও পুরনো গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া স্থানীয় এক নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল করে বেআইনি বহুতল বানিয়ে নির্বাচনী কার্যালয় তৈরি-সহ দলীয় কর্মীদের বেধড়ক মারধর এবং তাঁদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। অভিযোগের তির হাওড়ার জগদীশপুরের বিজেপি নেতা গোবিন্দ হাজরার দিকে। ঘটনার প্রতিবাদে ওই রাতেই দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন দলের পুরনো কয়েক জন নেতা। যদিও গোবিন্দের বক্তব্য, অভিযোগকারীরা দলের কেউ নন। তাঁরা তৃণমূলের ‘ট্যাবলেট’ খেয়ে এ সব করছেন। কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এর মধ্যে নেই।
জগদীশপুরের নব্য যে নেতার বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীরা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন, সেই গোবিন্দ হাজরা ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তার আগে তিনি জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রধান ছিলেন। পরে রাজীব তৃণমূলে ফিরলেও গোবিন্দ ফেরেননি।
এলাকায় বিজেপির পুরনো নেতা বলে পরিচিত সোমনাথ নস্কর বলেন, ‘‘জগদীশপুর হাটে গোবিন্দ হাজরা জমি দখল করে বহুতল বানিয়ে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী কার্যালয় করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কার্যালয় যখন খোলা হয়, তখন আমরা প্রতিবাদ করলে মারধর করা হয়। জগদীশপুর পুলিশ ফাঁড়িতে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ এক ঘণ্টা আমাদের আটকে রাখে।’’
আর এক বিক্ষুব্ধ নেতা প্রবীর কয়াল বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতে গোবিন্দের নানা দুর্নীতির প্রতিবাদে নির্বাচনী কার্যালয়ের উল্টো দিকের ফুটপাতে আমরা অবস্থান শুরু করলে তাঁরই আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী হামলা চালায়। মেরে নাক ফাটিয়ে দেয়।’’
দলের কর্মীদের অভিযোগ সম্পর্কে গোবিন্দ বলেন, ‘‘ওঁরা আসলে তৃণমূলের ট্যাবলেট খেয়ে ফেলেছেন, তাই অভিযোগ তুলছেন। সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। যাঁরা এ সব করছেন, তাঁরা দলের কোনও পদে নেই। দলবিরোধী কাজের জন্য ওঁদের শো-কজ় করা হয়েছিল।’’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিজেপিতে আসা গোবিন্দের বিরুদ্ধে বিপুল আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ গোবিন্দকে গ্রেফতারও করে। পরে ছাড়াও পান তিনি।