ভাঙড়ের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরলেন যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। ছবি: সামসুল হুদা।
গোটা দেশ তথা রাজ্যের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার দুই জেলা জুড়ে পালিত হল খুশির ইদ। সকালে মসজিদগুলিতে নমাজ পড়েন মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষজন। দিনভর উৎসব চলে বিভিন্ন এলাকায়। রাতে অনেক জায়গাতেই সাংস্কতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। লোকসভা ভোটের মুখে এ দিন ইদকে কেন্দ্র করে প্রচার সারতে দেখা যায় রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাও জনসংযোগ করেন।
বসিরহাটে ৫৫৮ বছরের পুরনো শাহি মসজিদে প্রতি বছরের মতো এ দিনও ইদের নমাজের আয়োজন হয়েছিল। কয়েক হাজার মানুষ সেখানে সকালে নমাজ পড়েন। শাহি মসজিদে নমাজ পড়তে দেখা যায় বসিরহাট পুলিশ জেলার এসপি হোসেন মেহেদি রহমানকে। ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার নাজিমুল হক। বসিরহাটের মাওলানাবাগ দরবার শরিফ ও ত্রিমোহনীর আমিনিয়া মাদ্রাসার মাঠেও নমাজ পড়েন কয়েক হাজার মানুষ। নমাজ পড়া শেষে শুভেচ্ছা বিনিময় চলে।
বারাসত, দেগঙ্গা, আমডাঙায় বিভিন্ন মসজিদে নমাজ পড়া চলে। নমাজ পড়া হয় ইদগা ময়দানেও। দক্ষিণে ক্যানিং, জয়নগরের বিভিন্ন মসজিদেও নমাজের আয়োজন হয়েছিল। এ দিন ক্যানিং থানার তরফে এলাকার প্রতিটি মসজিদে ইমাম মোয়াজ্জেমদের হাতে উপহার তুলে দেওয়া হয়।
নমাজ শেষ হতেই বহু মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। রাস্তায় রাস্তায় বাইকের দাপট বাড়ে। যানজটও হয় অনেক জায়গায়। পুলিশের তরফে যান নিয়ন্ত্রণে জোর দেওয়া হয়।
এ দিন সকাল থেকেই ভাঙড় ২ ব্লকের সাতুলিয়া, পিঠাপুকুর, পোলেরহাট, শানপুকুর, ভুমরু সহ বিভিন্ন গ্রামে ঘোরেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। অনেক বাড়িতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া সারেন। দলীয় পতাকা ছাড়াই এ দিন এলাকায় ঘোরেন সৃজন। তাঁর কথায়, “আজ ভোট চাইতে আসিনি। মানুষের সঙ্গে ইদের খুশি ভাগ করে নিতে এসেছি।” পরে বারুইপুরের সীতাকুণ্ডু এলাকায় যান তিনি। ২০১৪ সালে সীতাকুন্ডুর বাসিন্দা এসএফআই নেতা সাইফুদ্দিন মোল্লার মৃত্যু হয়। রাজনৈতিক আক্রোশে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ দিন সাইফুদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে কিছু উপহার তুলে দেন সৃজন। —ছবি: সুদীপ ঘোষ, সামসুল হুদা, নবেন্দু ঘোষ