পুকুরে বিজেপির পতাকা। বুধবার মহম্মদবাজারের কবিলপুর গ্রামে। নিজস্ব চিত্র
বিজেপির পতাকা খুলে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে মহম্মদবাজার ব্লকের আঙ্গারগড়িয়া পঞ্চায়েতের কবিলপুর গ্রামে। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল স্থানীয় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে আঙুল তুলেছে।
২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে আঙ্গারগড়িয়া পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে আসে। কবিলপুর গ্রামের দু’টি বুথেই বিজেপি জিতেছিল। বিজেপির অভিযোগ, তাই লোকসভা ভোটের আগে গ্রামে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে শাসকদল। মঙ্গলবার রাতে যখন বৃষ্টি হচ্ছিল, তখন একটি ট্রাক্টরে কয়েক জন এসে রাস্তার পাশে লাগানো বিজেপির পতাকা খুলে পুকুরের জলে ফেলে দেয়। কয়েক দিন আগে এখানেই বিজেপির দেওয়াল লিখনে গোবর লেপে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বুধবার সকালে বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়। প্রশাসনের কর্মীরা এসে পতাকা তুলে দিয়ে যান।
এ দিন বিজেপি হুঁশিয়ারি দেয়, প্রশাসন যদি এ বিষয়ে নজর না দেয়, তা হলে যে কোন সময়ে গ্রামে অশান্তির সৃষ্টি হতে পারে। বিজেপির ওবিসি মোর্চার বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্তোষ ভান্ডারি বলেন, ‘‘এই গ্রামের মানুষ বিজেপিকে পঞ্চায়েতে নির্বাচিত করেছেন। তাই শাসকদল বিজেপির পতাকা ফেলে দিচ্ছে। গত নির্বাচনগুলিতে দেওয়ালে গোবর ও কাদা দেওয়া হয়েছিল। আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব যাঁরা এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছেন, তাঁদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। তা না হলে গ্রামে অশান্তি সৃষ্টি হবে।’’
আঙ্গারগড়িয়া অঞ্চল তৃণমূলের সহ-সভাপতি সমীরণ গড়াই বলেন, ‘‘সমস্ত মিথ্যা অভিযোগ। তৃণমূল হিংসার রাজনীতি করে না। কবিলপুরে বর্তমানে বিজেপির দু’টি গোষ্ঠী হয়েছে। নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি নিয়ে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। দায় এড়াতে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছে। গত নির্বাচনে তৃণমূলের দেওয়াল লিখনে কালি ছেটানো হয়েছিল। এ বার কবিলপুর তৃণমূল ভাল লিড পাবে।’’