মগরাহাটের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জুড়ে চালু হবে ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’— বৃহস্পতিবার এক জনসভায় এমনই জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন লোকসভা ভোটের প্রচারে জেলার একাধিক প্রান্তে সভা করেন অভিষেক। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের সমর্থনে দুপুরের দিকে ভাঙড়ের ভোজেরহাট ফুটবল মাঠে সভায় আসেন অভিষেক। পরে মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার সংগ্রামপুরে সভা করেন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বাপি হালদারের সমর্থনে।
মগরাহাটের সভায় নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বলেন, “ডায়মন্ড হারবারে কী কাজ হয়েছে, সকলে জানেন। গোটা দেশে ডায়মন্ড হারবার মডেল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এ বার জেলার চার লোকসভা কেন্দ্রেই ডায়মন্ড হারবার মডেল চালু হবে। এটা আমার গ্যারান্টি।”
এ বার লোকসভায় জেলার চার আসনে ব্যবধান বাড়ানো নিয়ে তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে লড়াই হবে বলে এ দিন আরও এক বার মনে করিয়ে দেন তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উন্নয়নে রাজ্য সরকারের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন। ভাঙড়ে অভিষেক বলেন, “কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও আমরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানুষকে পথশ্রী, কন্যাশ্রী এমনকী একশো দিনের কাজের টাকাও দিয়েছি। এই জেলার সাড়ে ছ’লক্ষ মানুষকে একশো দিনের কাজের টাকা দেওয়া হয়েছে। ২১ লক্ষ মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার পান। কেন্দ্রের দয়া দাক্ষিণ্যে আমরা বেঁচে নেই।”
এ বছরের মধ্যেই জেলার মানুষ রাজ্য সরকারের তরফে আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা পাবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি। কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে বার বার সরব হতে দেখা যায় অভিষেককে। গত দশ বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির খতিয়ান দিয়ে তুলোধনা করেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাকে তাঁর এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কর্মভূমি’ বলে উল্লেখ করেন অভিষেক। জেলার মানুষ তাঁর পরিবারের অংশ বলেও জানান।
মগরাহাটে তিনি বলেন, “এখানে আমি ভোট চাইতে আসি না। নিজের বাবা-মায়ের কাছে কি কেউ ভোট চায়?” ভোট পর্যন্ত জেলায় ‘পড়ে থাকবেন’ বলে জানান অভিষেক। বলেন, “আগামী সাত দিন এখানেই আছি। যখন যে বুথে ডাকবেন, যাব।”
বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ হালদার পরে বলেন, “ডায়মন্ড হারবার মডেল মানে তো নিঃশব্দে বিরোধী দলের নেতাদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা। ওই মডেলেই ওদের পরাজয় নিশ্চিত হবে।”