(বাঁ দিক থেকে) কমল নাথ এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। —ফাইল চিত্র।
সচিন পাইলটকে বিজেপিতে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রাজস্থানের বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজে। মধ্যপ্রদেশে এবার কমল নাথকে বিজেপিতে টানার ক্ষেত্রে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর।
কমল নাথ রাজ্যসভায় প্রার্থী হতে না পেরে কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্বের উপরে ক্ষুব্ধ ছিলেন। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, সে কথা বুঝেই বিজেপি শীর্ষনেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বাণের পরে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথকে দলে টেনে বিজেপি কংগ্রেসকে জোর ধাক্কা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাতে সিন্ধিয়া আপত্তি তোলেন বলে সূত্রের খবর। সচিন পাইলট যেমন অশোক গহলৌতকে সরিয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়ে বিদ্রোহ করেছিলেন— একই ভাবে সিন্ধিয়া কমল নাথকে সরিয়ে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে না পেরে বিজেপিতে যোগ দেন। সেই কমল নাথই আবার বিজেপিতে এসে যোগ দিন, তা সিন্ধিয়া চাননি।
সূত্রের খবর, বিজেপি পঞ্জাবে নতুন করে অকালি দলের সঙ্গে হাত মেলাতে চাইছে। এই পরিস্থিতিতেও কমল নাথকে দলে টানা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, অকালি দলের মতো বিজেপিও এত দিন কমলকে চুরাশির শিখ দাঙ্গার জন্য দায়ী করে এসেছে।
সনিয়ার সঙ্গে দেখা করে কমল নাথ জানান, বিধানসভা নির্বাচনে হারের পরে তিনি আর রাজ্য রাজনীতিতে থাকতে চাইছেন না। রাজ্যসভায় আগামী ছয় বছর থাকবেন। জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন। তারপরে অবসর নিয়ে নেবেন। কিন্তু কংগ্রেস কমল নাথকে রাজ্যসভায় জায়গা দিতে চায়নি। অশোক চহ্বাণকে বিজেপিতে নিয়ে এসে তাঁকে মহারাষ্ট্র থেকে রাজ্যসভায় পাঠালেও বিজেপির পক্ষে মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় পাঠানো কঠিন হয়ে ওঠে। ফলে কমল নাথও বিজেপির থেকে রাজ্যসভায় সুযোগ মিলছে না দেখে পিছিয়ে যান। কংগ্রেস সূত্রের খবর, কমল নাথ আজ ভোপালে কংগ্রেসের ন্যায় যাত্রার প্রস্তুতি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেস ইঙ্গিত দিয়েছে, তাঁর ছেলে নকুলকে ফের ছিন্দওয়াড়া থেকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী করা হবে।