জে পি নড্ডা। —ফাইল চিত্র।
নয়াদিল্লিতে গিয়ে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করলেন আলিপুরদুয়ারের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। বিজেপি সূত্রের খবর, শনিবারই দিল্লিতে যান বার্লা। ওই দিন সন্ধ্যায় নাড্ডার সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। বার্লার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, আলিপুরদুয়ারে দলের প্রার্থী যাতে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন, সে বিষয়টি দেখতে আলিপুরদুয়ারের বিদায়ী সাংসদকে নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আগামী দিনে তাঁকে নিয়েও যে দল কিছু ভাবছে, শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বার্লাকে সে কথা জানানো হয়েছে।
গত লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্র থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী বার্লা। পরে তাঁকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী করা হয়। কিন্তু এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বার্লার বদলে মাদারিহাটের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভায় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাকে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে প্রার্থী করে বিজেপি। আর সেই ঘোষণা হতেই টিগ্গার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই সরব হতে দেখা যায় বার্লাকে। শুধু তাই নয়, টিগ্গার প্রার্থী হওয়া নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন বার্লা। টিগ্গার বিরুদ্ধে অনৈতিক ব্যবসার অভিযোগও তোলেন। সেইসঙ্গে জানিয়ে দেন, টিগ্গার হয়ে কোনও অবস্থাতেই প্রচারে নামবেন না। যদিও পরে টিগ্গাকে নিয়ে সুর নরম করেন বার্লা। টিগ্গাকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করে তাঁর হয়ে প্রচারে নামার কথাও জানান। একইসঙ্গে জানান, অভিভাবক হিসেবে আগামীদিনে এলাকার উন্নয়ন তিনিই করবেন। তখনই নানা মহলে চর্চা বেড়ে যায়, লোকসভা নির্বাচনের টিকিট না দিলেও বিজেপি কী বড় কোনও দায়িত্ব দিতে চলেছে বার্লাকে? সেই সময় থেকেই নড্ডার সঙ্গে বাার্লার বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনার কথাও গেরুয়া শিবিরের অন্দর থেকে উঠে আসে। কিন্তু নাড্ডার সঙ্গে সেই বৈঠক নিয়ে বার্লাকে বারবার ফোন করা হলেও লাভ হয়নি। তিনি ফোন ধরেননি।
তবে বার্লার ঘনিষ্ঠদের একাংশ জানান, বার্লাকে নাড্ডা বলেছেন— ‘‘আপনার কথা দলের ভাবনায় রয়েছে। কিন্তু এখন আলিপুরদুয়ারে গিয়ে দলের প্রার্থীকে জয়ী করান। আপনাকে নিয়ে দল যেটা ভেবে রেখেছে, সেটা আপনি দ্রুত জানতে পারবেন।’’ যদিও বার্লা ফোন না ধরায় এ বিষয়ে নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। তবে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী টিগ্গা বলেন, “জনদা এখনও আলিপুরদুয়ারের সাংসদ। এখনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। উনি ভোট প্রচারে নামলে ভোটারদের মধ্যে প্রভাব পড়তে বাধ্য। আমি নিশ্চিত, নির্বাচনী প্রচারে বড় ভূমিকা নেবেন জনদা।”