অর্জুন সিংহ। —ফাইল চিত্র।
ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের সঙ্গে তৃণমূলের দুই বিধায়ক জগদ্দলের সোমনাথ শ্যাম ও বীজপুরের সুবোধ অধিকারীর তিক্ততা সকলের জানা। ফের তা প্রকাশ্যে এল আমডাঙায় কর্মিসভায় অর্জুনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে।
রবিবার আমডাঙার ব্লক অফিস এলাকার টালিখোলায় দলের কর্মী সম্মেলন ও প্রীতিভোজে হাজির হন অর্জুন। সেখানেই তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘তোলবাজদের বুথে বসাবেন না। শিক্ষিতদের জায়গা দিন।’’ তোলাবাজ বলতে তিনি দলের কাকে বুঝিয়েছেন, তা অবশ্য খোলসা করেননি সাংসদ। তবে, জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ সোমবার পাল্টা অর্জুনকে ‘কানকাটা’ ও ‘খুনি’ বলে তোপ দেগেছেন এর পরেই। একই কথা শোনা গিয়েছে বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর মুখেও। দু’জনেই বলেন ‘‘খুনি পরিবারকে যেন টিকিট না দেওয়া হয়। দলের কাছে আর্জি জানিয়েছি।’’
আমডাঙায় অর্জুন বলেন, ‘‘যে কোনও রকম কাজ করার জন্য যারা বলে ২০০০ টাকা দাও, এই লোকগুলোকে বুথে বসাবেন না। না হলে আপনি জেতার আগে হেরে যাবেন। এটা মাথায় রাখতে হবে। ভোটে যখন পজ়িটিভ ওয়েভ থাকবে, তখন জেতাটা খুব সহজ। কিন্তু ভোটটা যখন নেগেটিভ ওয়েভ থেকে জিততে হয়, তখন কিন্তু আপনাকে নিজেকে ওই ভাবে তৈরি করতে হবে।’’ অর্জুন দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। সম্মেলনে উপস্থিত কর্মীদের বলেন, ‘‘কোথায় কোন কথা বলা দরকার সেটা বুঝতে হবে। যে মস্তানি করছে, টাকা-পয়সা কেড়ে নিচ্ছে সেই লোককে বুথে বসাবেন না। এটা আপনারাই খেয়াল রাখবন। এদের দরকার নেই।’’
সোমবার বিধানসভার বাইরে অর্জুন সিংহের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গলা চড়ান জগদ্দল ও বীজপুরের দুই বিধায়ক। সোমনাথ বলেন, ‘‘অর্জুন ২০১৯ সালের পরে দলে এসেছেন। সংগঠনে বা দলে আমরা আর কানকাটাদের রাখছি না। খুনি পরিবারকে যেন টিকিট না দেওয়া হয়। ওঁর ভাইপো ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় জড়িত। একাধিক খুনের মামলায় ওঁর নাম চার্জশিটে আছে।’’ বীজপুরের বিধায়ক বলেন, ‘‘যে পরিবারে খুনি থাকবে তাকে যেন টিকিট না দেওয়া হয়, দলকে বলেছি। ২০১৯ সালের আগে আর পরের তৃণমূল এক নয়।’’ অর্জুন অবশ্য বলেছেন, ‘‘মানুষই সব কথার জবাব দেবেন।’’