জঙ্গিপুরে আইএসএফ প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে নওসাদ সিদ্দিকী। নিজস্ব চিত্র।
এ রাজ্যে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁদের জোট না হওয়ার জন্য নাম না করে কংগ্রেসকে দুষলেন আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। রবিবার জঙ্গিপুরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে নাম না করে তিনি বলেন, ‘‘আইএসএফকে অচ্ছুৎ বলেন এমন এক বক-ধার্মিক নেতার আচরণের জন্যই জোট হয়নি।’’
জঙ্গিপুরে আইএসএফ প্রার্থী করেছে বিড়ি শিল্পপতি শাহজাহান বিশ্বাসকে। সম্পর্কে তিনি সুতির তৃণমূল বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের সহোদর দাদা। এ দিন প্রচারে এসে নওসাদ জানান, বহরমপুর কেন্দ্রেও প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে তাঁদের দলে আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যে তাঁরা প্রার্থী দিয়েছেন মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র ও ভগবানগোলা বিধানসভার উপনির্বাচনে। জোট না হওয়া নিয়ে নওসাদ এ দিন বলেন, “আমাদের লক্ষ্য বিজেপি ও তৃণমূলকে হারানো। সেই জন্য রাজ্যের ৪২টি আসনেই আমরা জোট করতে চেয়েছিলাম। ২০ থেকে সাতটি আসনে প্রার্থী দিতেও রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু সর্ষের মধ্যে ভূত ঢুকে। দিনের বেলায় যাঁরা কংগ্রেস ও বাম দল করছেন, রাতে তাঁরাই তৃণমূল, বিজেপি হয়ে যাচ্ছে।’’ এরপরই নাম না করে অধীর চৌধুরীকে বিঁধে তিনি বলেন, ‘‘বহরমপুরে একজন নিজেকে বড় নেতা বলে দাবি করেন। তাঁকে প্রশ্ন করবেন না, ২৫ বছর সাংসদ আছেন অথচ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণতা পেল না কেন? এখন কেন্দ্রে বিজেপি। তার আগে ১০ বছর তো ইউপিএ সরকার ছিল। একটা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কেন করতে পারেননি তিনি মুর্শিদাবাদে! জেলায় একটা ‘এমস’ হাসপাতাল করতে পারেননি কেন তিনি! এ সব নিয়ে আওয়াজ তুলবে বলে আইএসএফকে তিনি অচ্ছুৎ বলছেন?’’ এরপরই জঙ্গিপুরের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদকে বিঁধে তিনি বলেন, ‘‘কেন সিএএ’র বিরুদ্ধে ভোট না দিয়ে সংসদে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন? শুনেছি, তাঁর নাকি এক নিকটাত্মীয় সেদিন মারা গিয়েছিলেন। তাঁর আত্মার শান্তি কমনা করেও বলছি, জানাজা এক দিন পিছিয়ে দিয়ে মানুষের স্বার্থে সংসদে ভোট দিয়ে জানাজায় অংশ নিতে পারতেন তিনি।”
এ নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘আইএসএফের সঙ্গে কংগ্রেসের কখনও কোনও জোট ছিল না। ওদের জোট ছিল বামেদের সঙ্গে। ক্ষমতার অতিরিক্ত চাওয়া পাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে তাদের মধ্যে সেই জোট এ বার হয়নি। সেটা তাদের ব্যাপার। কংগ্রেস ভাঙড়ের ঘটনায় কখনও কখনও আইএসএফকে সমর্থন করেছে। সেটা জোট নয়। আর অচ্ছুৎ শব্দটা নওসাদের মনগড়া।’’