হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। —ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলে গিয়েছিলেন, পাহাড় সমস্যার সমাধান শীঘ্রই হবে। প্রাক্তন বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলাও আজ বলেন, ‘‘বিষয়টি সমাধানের খুব কাছে চলে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে।” এ-ও জানান, গোর্খাদের দাবিদাওয়ার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান ও ১১টি পার্বত্য উপজাতিকে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার লক্ষ্যেও আগামী দিনে কাজ করবেন।
দার্জিলিং কেন্দ্রে লোকসভার প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন শ্রিংলা। শেষ পর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় না থাকলেও ময়দান ছাড়ছেন না তিনি। আজ শ্রিংলার কথায়, “আগামী দিনে দেশের কাজই করে যাব। দার্জিলিং-শিলিগুড়ি এলাকায় আর্থসামাজিক ভাবে দুর্বল মানুষদের জন্য নানা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবনা, পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়ন করা আমার মূল লক্ষ্য হবে।” তিনি জানান, কূটনীতিকের পদ থেকে অবসর গ্রহণের পরে এই কাজকেই তিনি বেছে নিয়েছিলেন।
শ্রিংলার দাবি, উত্তরবঙ্গের মানুষের উন্নয়নে কাজ করতে কোনও সাংবিধানিক পদের প্রয়োজন নেই। ইচ্ছে থাকলে পদে না থেকেও তা করা সম্ভব। তাঁর কথায় “২০১৪ সালে দার্জিলিং ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন গড়ি। সম্প্রতি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। বিকশিত দার্জিলিং গড়া আমাদের লক্ষ্য। এখানে বিনিয়োগ আনা, রুগ্ণ চা বাগান চাঙ্গা করা, পাহাড়ের যুবাশক্তির আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাব।”
শিলিগুড়ি-দার্জিলিং-সিকিম—সোনালি ত্রিভুজ গড়তে চান শ্রিংলা। তাঁর বক্তব্য, “উত্তরবঙ্গের এই এলাকা তিনটি রাষ্ট্রের (নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ) সীমান্তের সঙ্গে সংলগ্ন। এর কৌশলগত তাৎপর্য রয়েছে। কূটনীতিক হিসেবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগাতে পারছি। সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে ঘুরে দেখেছি জল ও বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। তার নিরসনের চেষ্টা করব।”