(বাঁ দিকে) দেবগৌড়ার পৌত্র প্রোজ্জ্বল রেভান্না। এইচ ডি দেবগৌড়া (ডান দিকে)। ফাইল চিত্র।
‘অশ্লীল’ ভিডিয়ো মামলা নিয়ে কর্নাটক সরকার তৎপর হতেই ‘বেপাত্তা’ হয়ে গেলেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জনতা দলের (সেকুলার) প্রধান এইচডি দেবগৌড়ার পৌত্র বিদায়ী সাংসদ প্রোজ্জ্বল রেভান্না। এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, রেভান্না নাকি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ‘অশ্লীল’ ভিডিয়ো নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কর্নাটক সরকার। একটি বিশেষ তদন্তকারী দলও গঠন করা হয়েছে বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, রবিবার সকালেই বেঙ্গালুরু ছেড়ে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্রে দলের প্রধান কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন জেডি(এস)-এর নেতৃত্বরা। কর্নাটকের হাসনের বিদায়ী সাংসদ রেভান্না। এ বারের প্রার্থীও হয়েছেন ওই কেন্দ্র থেকে। প্রথম দফার ভোটের আগে হাসন কেন্দ্রে বেশ কয়েকটি ‘অশ্লীল’ ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়। এই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে জেডিএস প্রার্থী রেভান্নার বিরুদ্ধেও।
বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়তেই ঘটনাটির তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। শনিবার তিনি এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডলে জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার এই ঘটনাটির তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে। মহিলা কমিশনও এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে। রাজ্য সরকার বিষয়টি তৎপর হওয়ার মাঝেই রেভান্নার ‘দেশত্যাগী’ হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।
এ বারের লোকসভা ভোটে কর্নাটকের ২৮টি আসনের মধ্যে মাত্র তিনটি জেডিএস-কে ছেড়েছে বিজেপি। তার মধ্যে দু’টিতেই নিজের পরিবারের সদস্যদের প্রার্থী করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া। ছোট ছেলে তথা কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী টিকিট পেয়েছেন মান্ড্য আসনে। অন্য দিকে, মেজো ছেলে এইচডি রেভান্নার পুত্র তথা হাসনের বিদায়ী সাংসদ প্রোজ্জ্বলকে তাঁর বর্তমান কেন্দ্রে ফের প্রার্থী করা হয়েছে।