(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী, মহুয়া মৈত্র। —ফাইল চিত্র।
তিনি তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। তিনি কৃষ্ণনগর লোকসভার কেন্দ্রের বহিষ্কৃত সাংসদ। তিনি আগামী লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রেরই দলীয় প্রার্থী। সেই মহুয়া মৈত্রের কৃষ্ণনগরে আগামী শনিবার জনসভা করতে আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না-হলেও মোদীর এই কৃষ্ণনগর সফর যে একেবারেই রাজনৈতিক তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। ‘প্রতিপক্ষ’ মোদীর এই সফর কী ভাবে দেখছেন মহুয়া? স্বয়ং মোদী তাঁর কেন্দ্রে আসছেন, এটা কি মহুয়াকে আরও ‘গুরুত্বপূর্ণ’ করে দিল? না কি মোদী-আদানিকে জড়িয়ে সংসদে বার বার বক্তৃতা করা মহুয়াকে হারানোর জন্য মোদীদের এ বার ‘বিশেষ’ নজর থাকবে কৃষ্ণনগরে? যা মহুয়ার পক্ষে বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়াবে? মঙ্গলবার আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্ন শুনে কৃষ্ণনগরের বহিষ্কৃত সাংসদ অবশ্য সে সব প্রসঙ্গেই গেলেন না। বললেন, ‘‘উনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। যেখানে খুশি যেতে পারেন। তিনি যেখানে যাবেন স্বাগত জানাচ্ছি।’’
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১ মার্চ মোদী জনসভা করবেন হুগলির আরামবাগে। ২ মার্চ কৃষ্ণনগর এবং ৮ মার্চ উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে জনসভা করার কথা তাঁর। নদিয়ার জেলাসদর কৃষ্ণনগরে জনসভা করতে তিনি নিজেই উৎসাহ দেখিয়েছেন বলে বিজেপির একাংশের দাবি। তবে মহুয়া মোদীর এই রাজনৈতিক সফরকে গুরুত্ব দিতে চাননি। তাঁর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী যেখানে খুশি যেতে পারেন। কৃষ্ণনগরেও আসতে পারেন। আমার এই নিয়ে নিয়ে মন্তব্য করার কিছু নেই।’’
২০১৯ সালে এই কৃষ্ণনগর আসন থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতে লোকসভা গিয়েছিলেন মহুয়া। ‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’-কাণ্ডে গত ডিসেম্বরে লোকসভার এথিক্স কমিটির প্রস্তাব মেনে তাঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়। মহুয়া বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থও হন।
তবে তাঁকেই যে কৃষ্ণনগর থেকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও প্রার্থী করা হবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি মাসে তিনি নদিয়ারই শান্তিপুরে সরকারি পরিষেবা প্রদান কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন। সেই মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, ‘‘তোমরা মহুয়াকে তাড়িয়ে দিতে পারো। কিন্তু মানুষের ভোটে মহুয়া আবার জিতবে।’’ অর্থাৎ, কৃষ্ণনগরের প্রার্থী যে আবারও মহুয়া তা ঘোষণাই করে দেন তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী।