— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভোট গণনাকেন্দ্রের নিরাপত্তা কেমন হবে, কোথায় কে বসতে পারবেন, কারা থাকতে পারবেন না, জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। যে কোনও ভোট গণনাকেন্দ্রের ঢোকার আগে থেকেই শুরু হচ্ছে কড়া নিরাপত্তার বলয়। সেটা ভাগ করা হয়েছে দুটি বেষ্টনীতে। একেবারে সামনের বেষ্টনীতে থাকবে স্থানীয় পুলিশ এবং প্রশাসনের একাংশ। সেখানে কোনও গাড়ি রাখা যাবে না। ওই বেষ্টনী পেরিয়ে ১০০ মিটার দূরে থাকবে সশস্ত্র পুলিশ। মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। তার পরে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় বেষ্টনী। ওখানে থাকছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের থাকার জায়গা। সেই বেষ্টনীর কাছে নির্দিষ্ট একটি জায়গা থাকবে মোবাইল রাখার জন্য। কাউন্টিং এজেন্ট এবং গণনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্দিষ্ট কয়েক জন কাউন্টিং সেন্টারে ঢুকবেন। সেখানে স্থানীয় পুলিশের কেউ থাকতে পারবে না। পাহারায় শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে।
পাশাপাশি গণনাকেন্দ্রের মধ্যে কোন রাজনৈতিক দলের এজেন্টরা কোথায় বসতে পারবেন, সেটাও জানিয়েছে কমিশন। যেমন, গণনাকেন্দ্রের নির্দিষ্ট বসার জায়গায় একেবারে সামনের সারিতে বসবেন জাতীয় রাজনৈতিক দলের এজেন্ট। পরের সারিতে বসবেন আঞ্চলিক দলগুলির এজেন্টরা। একেবারে পিছনের সারিতে বসবেন নির্দল প্রার্থীদের এজেন্ট।
কমিশন সূত্রে খবর, গণনাকর্মীর পাশাপাশি কাউন্টিং হলে প্রবেশ করতে পারবেন প্রার্থী। এ ছাড়া প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট, কাউন্টিং এজেন্ট, কমিশন নিযুক্ত পর্যবেক্ষক, রিটার্নিং অফিসার থাকবেন। মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীদের কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবেও নিযুক্ত করতে পারবে না দলগুলি। জেলা নির্বাচন দফতর থেকে এই নির্দেশিকা ইতিমধ্যে জারি হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, প্রার্থীর কাউন্টিং এজেন্টরা যত্রতত্র ঘোরাফেরা করতে পারবেন না। তবে প্রার্থী ও নির্বাচনী এজেন্ট ঘুরতে পারবেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি ছাড়া হলে কেউ ঢুকতে পারবেন না। স্ট্রং রুমপিছু তিন সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ২৮ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবে।
উল্লেখ্য, সোমবারই কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশিকায় জানিয়েছে, কোনও অস্থায়ী কর্মী ভোটগণনার কাজ করতে পারবেন না। এই বিষয়টি মাথায় রেখে যেন উপযুক্ত পদক্ষেপ করে কমিশন। কমিশনও জানিয়ে দিয়েছে নির্দেশ যাতে পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়, তা নিশ্চিত করা হবে।