দুই দফা মিলিয়ে ভোটের হার বাড়ল প্রায় ৬ শতাংশ। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোট শুরুর ১১ দিন পরে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় পড়া ভোটের চূড়ান্ত হার প্রকাশ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট হওয়া ইস্তক কমিশন প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়ে আসছিল। ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার পরে বলেছিল প্রায় ৬০.৯৬ শতাংশ ভোট পড়ার কথা। কিন্তু চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশিত না হওয়ায় বিরোধীরা কারচুপির আশঙ্কা করছিল। ভোট কম পড়া নিয়ে বিজেপিও চিন্তায় ছিল। আজ কমিশন জানিয়েছে, প্রথম দফায় ৬৬.১৪ শতাংশ এবং দ্বিতীয় দফায় ৬৬.৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে। অর্থাৎ প্রাথমিক হিসাবের থেকে ভোটের হার বেড়েছে মোটামুটি ৬ শতাংশ।
সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ, তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন, ফরওয়ার্ড ব্লকের জি দেবরাজন, সকলেই এই বিলম্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ইয়েচুরিদের অভিযোগ, প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্র ও তার অন্তর্গত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা কত, সেই তথ্যও আর কমিশনের ওয়েবসাইটে মিলছে না। তৃণমূল সূত্রের অভিযোগ, চাপের মুখে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে জলপাইগুড়িতে— ৮৩.৬৬ শতাংশ। তার পরেই কোচবিহার (৮২.১৬ শতাংশ)। রাজ্যে ভোটের সবচেয়ে কম হার দার্জিলিংয়ে। সেখানে ভোট পড়েছে ৭৪.৭৬ শতাংশ।