জাতীয় নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র ।
তামিলনাড়ুর পর্যটকদের কাছ থেকে নথিবিহীন বিপুল নগদ বাজেয়াপ্ত করার ঘটনা জানিয়ে সতর্ক করছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৯ এপ্রিল তামিলনাড়ুর ৩৯টি আসনেই ভোট। ওই রাজ্যের ঘটনাগুলির কথা জানিয়ে কমিশনের ব্যাখ্যা, কিছু ক্ষেত্রে পর্যটকেরা সঙ্গে বাড়তি নগদ টাকা থাকার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। ফলে কমিশন নিযুক্ত ভ্রাম্যমাণ ও স্থায়ী নজরদারি ঘাঁটির পুলিশকর্মীরা সেই টাকা বাজেয়াপ্ত করেন। বেআইনি ভাবে টাকার ব্যবহারে ভোট ব্যবস্থা প্রভাবিত করার চেষ্টা রুখতে কমিশন দায়বদ্ধ।
বিষয়টা নিয়ে খানিক চিন্তায় এ রাজ্যের পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল, কুমায়ুনে সফর ব্যবস্থাপনায় ব্যস্ত পর্যটন সংস্থার কর্তা আশিস বিশ্বাস বলছেন, “আমাদের শতকরা ৬৫ ভাগ পর্যটকই বয়স্ক। সবাই অনলাইনে সড়গড় নয়। তা ছাড়া সফরের টাকা আগাম দিলেও কিছু নগদ অনেকেই হাতে রাখতে চান। একটু সাবধানে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে টাকা রাখতে বলছি।”
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরের এক পদস্থ কর্তা বলছেন, “ভোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কেউ ৫০ হাজার টাকার বেশি নিয়ে ঘুরলেই টাকার উৎস, টাকা নিয়ে ঘোরার কারণ প্রমাণ-সহ বোঝাতে হবে। তবে যাতায়াতের টিকিট, হোটেলের নথি অনেক কিছু দিয়েই অবস্থাটা বোঝানো সম্ভব।” জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের তত্ত্বাবধানে এফএসটি এবং এসএসটি অর্থাৎ ভ্রাম্যমাণ এবং স্থায়ী নিরাপত্তা কর্মীরা নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে কার কাছে নগদ, খুঁটিয়ে দেখছেন। জেলায় জেলায় গ্রিভ্যান্স সেলও গড়া হয়েছে। কমিশনের নিয়মমাফিক, ১০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ নিয়ে ঘুরলে বিষয়টি আয়কর বিভাগের তদন্ত করার কথা। সম্প্রতি মালদহে ২৭ লক্ষ টাকা থাকায় এক ব্যক্তিকে নিরাপত্তাকর্মীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু উপযুক্ত নথি থাকায় টাকা ফিরিয়েও দেওয়া হয়।
তবে রাজ্যের ট্রাভেল এজেন্ট সংস্থাদের সমিতি বা ট্যাবের সেক্রেটারি কৌশিক কর বলছেন, এ মরসুমে ভোটের জন্য ব্যবসা অন্তত ২৫-৩০ শতাংশ ধাক্কা খেয়েছে। আর একটি ভ্রমণ সংস্থার কর্তা সোমনাথ চৌধুরীও বলছেন, “কিছু ছোট দল ছাড়া ভোট মরসুমে বড় দলে ঘোরার সফর আমরা আগেই বাতিল করেছি।” ২০ এপ্রিলের মধ্যে বড় দল সব ফিরে আসছে।