(বাঁ দিকে) অধীর চৌধুরী। মহম্মদ সেলিম (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
সপ্তম দফার ভোট শেষ হতেই গণনা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। রবিবার বিকালে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রার্থী, জেলা সভাপতি এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য দিকে, সিপিএম এবং কংগ্রেসও প্রার্থী এবং কাউন্টিং এজেন্টদের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী নিজে বহরমপুর আসনের প্রার্থী। রবিবার অধীর বলেন, ‘‘আমরা কর্মীদের বলেছি, গণনা শেষ না-হওয়া পর্যন্ত গণনাকেন্দ্র আঁকড়ে বসে থাকতে হবে। কোনও ভাবেই কারও কথা শুনে গণনাকেন্দ্র ছেড়ে বেরিয়ে আসা যাবে না।’’ রাজ্য সিপিএমের তরফে সার্কুলার জারি করে বলা হয়েছে, কী ভাবে ইভিএমের ‘কন্ট্রোল ইউনিট’ এবং ভিভিপ্যাটের নম্বর মিলিয়ে নিতে হবে। অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার (এআরও)-এর টেবিলে কত জন থাকবেন, কী ভাবে হিসাব মিলিয়ে দেখতে হবে, সে ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার বুথফেরত সমীক্ষার যে পূর্বাভাস সামনে এসেছে, তাতে বাম-কংগ্রেস তো বটেই, তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে কোথাও কোথাও হতাশা কাজ করছে। ঘরোয়া আলোচনায় সে কথা মানছেন দলের নেতারাও। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুথফেরত সমীক্ষাকে ‘সাজানো’ বলে তোপ দেগেছেন। বিজেপিকে খুশি রাখতে একাংশের সংবাদমাধ্যম ওই সমীক্ষার পূর্বাভাস দেখিয়েছে বলে দাবি তৃণমূলনেত্রীর।
সোমবার বিবিধ আশঙ্কার কথা জানাতে নির্বাচন কমিশনে যাবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি নিজেও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সেলিম জানিয়েছেন, কলকাতা ও লাগোয়া জেলার জনা ১৫ প্রার্থীকে নিয়ে তিনি সোমবার কমিশনে যাবেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের অনেকগুলি আশঙ্কা রয়েছে। সেগুলি জানাতেই কমিশনে যাব।’’
সিপিএম সূত্রে খবর, গণনার কাজে কমিশন যাতে কোনও অস্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে না রাখে, সেই দাবি জানাবে সিপিএম। এ ছাড়া আরও দাবি রয়েছে তাদের। সোমবার সকালেই হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসে কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদ রওনা হওয়ার কথা ছিল সেলিমের। কিন্তু কমিশনে যাওয়ার কর্মসূচির জন্য তিনি মুর্শিদাবাদ রওনা হওয়ার সময় পিছিয়ে দিয়েছেন বলে সিপিএম সূত্রে খবর।