ভগবানগোলার সভায় সেলিম। নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোটের দামামা বাজতেই রাজ্যের সব রাজনৈতিক দল মাঠে নেমে পড়েছে। রবিবার বিকেলে ভগবানগোলা থানার স্বপনগড় মোড়ে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন বাম নেতা মহম্মদ সেলিম।
সেলিম তাঁর বক্তব্যে রাজ্যের ‘শাসক দলের দুর্নীতির খতিয়ান’ তুলে ধরেন। ‘দিদি-মোদী’র রসায়ন ও রাজ্যকে আর্থিক বঞ্চনা এবং তার তথ্য নিয়েও তাঁর কণ্ঠে কটাক্ষের সুর শুনতে পাওয়া যায়। কেন্দ্র সরকারের দুর্নীতি নিয়ে তিনি বলেন, “দেশের সর্বোচ্চ আদালত যখন ‘নির্বাচনী বন্ড’-এর তথ্য জনসম্মুখে নিয়ে আসার নির্দেশ দিল, সে তথ্য প্রকাশ করার মতো সাহস বিজেপির হল না। ‘পিএম কেয়ার ফান্ড’ নিয়েও যথেষ্ট দুর্নীতি হয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “মানুষকে ভুল বুঝিয়ে আর কোনও লাভ নেই। বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর যদি কোনও অভিযোগ থাকে, সেক্ষেত্রে তিনি সংসদে বলুন বা, আদালতে যেতে পারেন।” এ দিনের জনসভায় কয়েক হাজার মানুষের সমাবেশ হয়।
ভগবানগোলায় এ বার বিধানসভা উপনির্বাচনও হওয়ার কথা। ভগবানগোলার বিধায়ক ইদ্রিশ আলি প্রয়াত হওয়ায় এই আসনটি খালি হয়েছে। বামেরা এই আসনে লড়তে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে। যদি তা নাও হয়, বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী দেবে এই আসনে। সে কারণেই সেলিমের এখানে জনসভা বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে, মুর্শিদাবাদ লোকসভা আসনটি নিয়েও বামেদের উৎসাহ রয়েছে বলে বেশ কয়েক দিন ধরেই জল্পনা চলছে। খোদ সেলিমই এখানে দাঁড়াতে পারেন, এমন জল্পনাও রয়েছে।
মুর্শিদাবাদ লোকসভা আসনটি ২০০৪ ও ২০০৯ সালে কংগ্রেসের দখলে থাকলেও ২০১৪ সালে বামেদের দখলে চলে যায়। ২০১৯ সালে আসনটি তৃণমূলের দখলে আসে। তৃণমূলের আবু তাহের খান প্রায় ২ লক্ষ ২৫ হাজার ভোটে জয়লাভ করেন। এ বারও আবু তাহের খানই এই আসনে লড়াই করবেন। তাঁর সঙ্গে লড়াই সহজ হবে না বামেদের। তবে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে বাম ও কংগ্রেসের জোট নিয়ে বামেরা যথেষ্ট আশাবাদী বলে দলীয় সূত্রে খবর। বছরের শুরু থেকেই বাম নেতা মহম্মদ সেলিমকে এই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিভিন্ন বিধানসভা ক্ষেত্রে সভা-সমাবেশ করতে দেখা যাচ্ছে।
তবে তৃণমূল দাবি করেছে, এই আসনে আবু তাহের ফিরে আসায় কেন্দ্রটি এ বারেও তাদের দখলেই থাকবে। ভগবানগোলা বিধানসভাও দখলে থাকবে বলে দাবি তৃণমূলের।