—প্রতীকী ছবি।
দার্জিলিং লোকসভা আসন নিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক কী করতে চাইছেন, স্পষ্ট হচ্ছে না প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশের কাছে। এই আবহে দার্জিলিং নিয়ে দলের দিল্লির নেতৃত্ব আর এক দফায় আলোচনা শুরু করেছেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। আগামী ৪ এপ্রিল এই কেন্দ্রের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। যদিও শুক্রবার রাত অবধি কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ভারতীয় গোর্খা পরিসঙ্ঘ ছেড়ে মুনিশ তামাংয়ের কংগ্রেসে যোগদান আর অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টির ‘ইন্ডিয়া’ জোটে অন্তর্ভুক্তির পরে অনেকেই মনে করছিলেন, মুনিশ দলের প্রার্থী হতে পারেন। কিন্তু কংগ্রেসের দিল্লির নেতৃত্বের কাছে প্রদেশ কংগ্রেসের অসন্তোষের কথা পৌঁছতে আর এক দফায় দিল্লিতে আলোচনা চলছে। দল সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে দিল্লিতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের কথা হয়। সেখানে দলের দার্জিলিং জেলা নেতৃত্বের বড় অংশ এবং প্রদেশ নেতৃত্বের মতামত নিয়ে প্রার্থী ঠিক করা হলে ভাল হয়— এই বার্তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রদেশ কংগ্রেসের পাহাড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিনয় তামাং বৃহস্পতিবারই অজয় এবং মুনিশকে মেনে ভোট করতে পারবেন না বলে দিয়েছেন। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘পাহাড়ে তো বটেই, সমতলের কংগ্রেসিরাও হতাশ হয়ে যাচ্ছেন। দলের রাজ্য ও জেলার মতামত মেনে প্রার্থী করাটাই জরুরি ছিল। সেখানে বাইরের লোকজনের মতামত শুনে এগোনোটা ঠিক হচ্ছে না।’’
এর মধ্যে এ দিন দিল্লিতে অজয় এবং মুনিশ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে দেখা করে কংগ্রেসের ইস্তাহারে ১১ জনজাতির তফসিলি জনজাতির স্বীকৃতি, পাহাড়-সমস্যার (পৃথক গোর্খাল্যান্ড বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বীকৃতি) রাজনৈতিক সমাধানের মতো বিষয় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। কংগ্রেসের প্রদেশ নির্বাচনী কমিটির সদস্য সুজয় ঘটক বলেছেন, ‘‘দলের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। কে প্রার্থী হবেন, জানি না। কিন্তু দ্রুত প্রার্থী ঘোষণা হলে ভাল হত।’’
‘ইন্ডিয়া’ জোটে কংগ্রেসের শরিক বামফ্রন্টের নেতারাও অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টির জোটভুক্তিতে খুশি। বাম নেতা বিমান বসুর কথায়, ‘‘অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টির মধ্যে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ইতিবাচক মানসিকতা রয়েছে। আমরা সে মানসিকতাকে স্বাগত জানাচ্ছি।’’
দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার অবশ্য কটাক্ষ, ‘‘কংগ্রেস কী করবে, ওদের বিষয়। তবে নিজের পায়ে কুড়ুল মারার অভ্যাস আছে কংগ্রেসের।’’