দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হতেই শুক্রবার সকালে সুজাপুরে দেওয়াল লিখন লিখে পূজা শুরু করলেন ইসা খান চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র
ভরসা সেই গনি খান চৌধুরী। তাই প্রার্থী ঘোষণা হতেই শুক্রবার সকালে মালদহের কোতোয়ালিতে গনি খানের মাজারে ফুল ও চাদর চড়িয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন কংগ্রেসের দক্ষিণ মালদহের প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী ও উত্তর মালদহের প্রার্থী মোস্তাক আলম। এ দিন তাঁরা এলাকায় একাধিক পীরের দরগা, মসজিদে যাওয়ার পাশাপাশি, জনসংযোগ সেরে নিয়েছেন। দেওয়াল লিখনে হাতও লাগিয়েছেন তাঁরা।
মালদহের 'রূপকার' গনি খানের মৃত্যুর পরেও ‘গনি-মিথ’-এর উপরে ভরসা করে কংগ্রেস সাংগঠনিক শক্তি ধরে রেখেছিল। কিন্তু এক দশক ধরে জেলায় ধীরে ধীরে তাদের সংগঠন দুর্বল হতে শুরু করে। গত বিধানসভা নির্বাচনে গনির 'খাসতালুক' বলে পরিচিত সুজাপুর বিধানসভায় কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী লক্ষাধিক ভোটে হেরে যাওয়ার পরে তৃণমূল বলতে শুরু করে, ‘গনি-মিথ’ বলে কিছু নেই। যদিও কংগ্রেস নেতৃত্বের পালটা দাবি, ‘গনি-মিথ’ ছিল, আছে এবং থাকবে।
এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ স্ত্রী সায়েদা সালেহা নুর, মানিকচকের প্রাক্তন বিধায়ক মোত্তাকিন আলম ও কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে হাভেলির পাশেই গনি খানের মাজারে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান ইশা। সেখান থেকে তিনি ইংরেজবাজারের পিরানা পীরের দরগায় যান। পরে, সুজাপুরে গিয়ে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দেওয়াল লিখনে হাত লাগান। দুপুরে তিনি মানিকচকের ভুতনির উত্তর চণ্ডীপুরের বাজারে গিয়ে জনসংযোগ সারেন। ইশা বলেন, ‘‘গনি খান চৌধুরীর দেখানো পথেই তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে এলাকার উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এই এলাকায় গঙ্গা ভাঙন, বিড়ি শ্রমিক, পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা-সহ নানা সমস্যা রয়েছে। সে সব নিয়ে আওয়াজ তুলতে চাই।’’ বেলা ১১টা নাগাদ গনি খানের মাজারে এসে শ্রদ্ধা জানান উত্তর মালদহের কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম। চাঁদপাড়ায় একটি মসজিদে নমাজ পড়ে দেওয়াল লিখনে হাত লাগান তিনি। বিকেলে পরানপুরে একটি কর্মিসভা করেন ও সন্ধ্যায় কর্মীদের নিয়ে ইফতারের পরে, আড়াইডাঙায় বর্ষীয়ান কিছু কংগ্রেস কর্মীর সঙ্গে বৈঠক করেন। মোস্তাক বলেন, ‘‘বিধায়ক এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ থাকাকালীন জেলা জুড়েই উন্নয়ন করেছি। মানুষ আমায় আশীর্বাদ করবেন।’’