বিধান ভবনে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। —নিজস্ব চিত্র।
নির্বাচনী বন্ডের নামে বেশির ভাগ টাকা যেখানে বিজেপিত গিয়েছে, সেখানে ভোটের মুখে কংগ্রেসের ১১৫.৩২ কোটি টাকা ও অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ়’ করেছে আয়কর দফতর— এই বিষয়টিকে সামনে রেখে এ বার রাজ্যেও সরব হল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় শুক্রবার বলেন, “একটা রাজনৈতিক দল, যার পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তি। প্রধান বিরোধী দল তার ধারে-কাছেও নেই! তবুও ভোটের আগে কংগ্রেসের ১১টি অ্যাকাউন্ট সাময়িক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এমনকি, যে অ্যাকাউন্ট সম্পূর্ণ ভাবে কর্মীদের থেকে চাঁদা তুলে তৈরি করা হয়েছিল, সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।” প্রয়াত সীতারাম কেশরী যখন কংগ্রেস সভাপতি, সেই সময়ে ১৯৯৩-৯৪ অর্থ-বর্ষের আয়কর বিবাদ সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে লোকসভা ভোটের মুখে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে ‘স্বৈরাচারী’ ও ‘গণতন্ত্র বিরোধী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।
প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর বিধান ভবনে এ দিন বিজেপির বিরদ্ধে তোপ দাগতে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, প্রদেশ কংগ্রেসের সমাজ মাধ্যম বিভাগের অশোক ভট্টাচার্য, মধ্য কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি সুমন পাল প্রমুখ। সৌম্যের অভিযোগ, “এর নেপথ্যে পুরো মদত দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেস যাতে ভোটে লড়তে, প্রচার করতে, মানুষের কাছে তাদের বক্তব্য ঠিক ভাবে না পৌঁছতে না পারে, সই জন্যই এমনটা করা হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, এর আগেই কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ছিনতাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে।