বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুকৃতি ঘোষালকে নিয়ে ভোট প্রচারে শুরু করলেন বামকর্মীরা। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে কবিগুরু এলাকায়। ছবি: বিকাশ মশান
প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পরে প্রথম বার দুর্গাপুরে প্রচারে নামলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুকৃতি ঘোষাল। তবে শুক্রবার তাঁর প্রচারে কংগ্রেসের কাউকে দেখা যায়নি।
এ দিন দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের কবিগুরু এলাকায় পদযাত্রা করেন সুকৃতি। সঙ্গে ছিলেন দুর্গাপুর পূর্বের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়, দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার প্রমুখ। পদযাত্রার ফাঁকে প্রার্থী জনসংযোগ সেরে নেন। বাজারে ঢুকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘‘জনবিরোধী নীতি বদলাতে সংসদে যাতে বামপন্থীরা সরব হতে পারেন, মানুষের কাছে সেই আর্জি জানাতেই এই পদযাত্রা।’’ তবে তৃণমূল ও বিজেপির তুলনায় দেরিতে প্রচার শুরু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘দল আমাকে প্রার্থী করেছে। কিন্তু আমাদের কর্মীরা নিয়মিত মানুষের স্বার্থে লড়াই করছেন। তা না হলে এত মানুষ এই পদযাত্রায় শামিল হতেন না। সংগঠন না থাকলে এটা সম্ভব হত না।’’
এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ ও বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ পরস্পরকে আক্রমণ করছেন। সে প্রসঙ্গে বাম প্রার্থীর বক্তব্য, ‘‘ব্যক্তিগত আক্রমণে আমরা বিশ্বাসী নই। ব্যক্তির থেকে দল বড়। আমাদের রাজনীতি হল, ক্ষমতাকে মানুষের স্বার্থে প্রয়োগ করার জন্য ক্ষমতা দখল করা।’’ মানুষ যে তাঁদের পাশে আছেন, তা বোঝাতে তিনি ডিওয়াইএফের ‘ইনসাফ যাত্রা’ বহু মানুষের উপস্থিতির কথা দাবি করেন।
এ দিন পদযাত্রায় দেখা যায়নি কোনও কংগ্রেস নেতা-কর্মীকে। এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী দিতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন দলের জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী। কিন্তু তার পরে এখানে সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে। বামের প্রচারে কংগ্রেসের কারও উপস্থিত না থাকার বিষয়ে দেবেশ বলেন, ‘‘আমাদের প্রদেশ নেতৃত্বের তরফে কোনও নির্দেশিকা এখনও এসে পৌঁছয়নি।’’ যদিও দলের একটি সূত্রের দাবি, এই আসন নিয়ে সিপিএম ও কংগ্রেসের টানাপড়েন কেটেছে। শীঘ্র জেলার সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব বৈঠক করবেন।
প্রার্থী ঘোষণার আগে থেকে প্রচারের ময়দানে দেখা গিয়েছে তৃণমূল, বিজেপি এবং বামেদের। কিন্তু কংগ্রেসের ক্ষেত্রে তা এখনও নজরে পড়েনি দুর্গাপুরে। এ নিয়ে কার্যত ক্ষুব্ধ কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মীদের অনেকে। দেবেশ অবশ্য বলেন, ‘‘কর্মীরা সবাই সক্রিয় আছেন। ইতিমধ্যে একাধিক কর্মিসভা আয়োজিত হয়েছে। উচ্চ নেতৃত্ব যেমন নির্দেশ দেবেন, সে ভাবেই কর্মীরা এগোবেন।’’