—প্রতীকী ছবি।
ইউটিউব থেকে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক থেকে ‘এক্স’— এ বারের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে আমজনতা, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম নেটদুনিয়ায় কংগ্রেসের কথা বেশি শুনেছে। আজ এমনটাই দাবি করল সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর দল। গত কাল লোকসভা নির্বাচনের প্রচারপর্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আজ কংগ্রেসের দাবি, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মে এ বার বিজেপিকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে তারা।
কংগ্রেসের সমাজমাধ্যম বিভাগের প্রধান সুপ্রিয়া শ্রীনতে আজ দাবি করেছেন, গত ১৬ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছিল। তার পর থেকে ৩০ মে পর্যন্ত কংগ্রেসের বিভিন্ন ভিডিয়ো ৬১ কোটি ৩০ লক্ষ বার দেখা হয়েছে। বিজেপির ভিডিয়ো দেখা হয়েছে ১৫ কোটি বার। অর্থ হল, কংগ্রেসের নেতাদের কথা, তাঁদের জনসভা, সাক্ষাৎকার অনেক বেশি লোকে শুনেছিলেন।
সুপ্রিয়া বলেন, ‘‘সব থেকে আকর্ষণীয় তথ্য হল, ইনস্টাগ্রাম বেশি ব্যবহার করেন তরুণরা। সেই ইনস্টাগ্রামে আমাদের গড় ‘লাইক’ ১ লক্ষ ২১ হাজার ছিল। বিজেপির ছিল মাত্র ২৬ হাজার ৯৪৫। প্রতিদিন আমাদের ফলোয়ার যেখানে ৩৩ হাজার বাড়ছিল, সেখানে বিজেপির বাড়ছিল মাত্র ৫ হাজার ৩০০। তরুণ প্রজন্মই এ বার ভোটের ফল নির্ধারণ করবে। তারাই ঠিক করবে কাদের সরকার গঠিত হবে। সেই তরুণরা কংগ্রেসের কথা শুনছিল। ইউটিউবে কংগ্রেসের কথা যাঁরা শুনছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৫৩ শতাংশের বয়স ৩৪ বছরের কম।’’
কংগ্রেসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এক্স (আগে যা ছিল টুইটার)-এ কংগ্রেসের পোস্টে গড় ‘লাইক’ পড়েছে আড়াই থেকে তিন হাজার। সেখানে বিজেপি ২৬০ থেকে ৩০০-য় আটকে ছিল। ফেসবুকে কংগ্রেসের পোস্টে গড় ‘লাইক’ ১২০০-১৫০০ হলে বিজেপি ১৫০ থেকে ২০০-য় আটকে থেকেছে। কংগ্রেসের ফেসবুকে ‘রিচ’ মার্চে ৫ কোটি ছিল। তা মে মাসে বেড়ে ১০ কোটি ৫০ লক্ষ হয়েছে। এক্স-এ ‘ইমপ্রেশন’ ১১ কোটি ৭০ লক্ষ থেকে বেড়ে ১২ কোটি ৮০ লক্ষ হয়েছে। ইউটিউবে ‘ভিউ’ মার্চে ৮ কোটি থেকে থেকে মে মাসে ২৩ কোটি হয়েছে। ইনস্টাগ্রামের ‘রিচ’ ৭ কোটি ৮০ লক্ষ থেকে বেড়ে ১৫ কোটি ৪০ লক্ষ হয়েছে।
কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ বারের ভোটপ্রচারে নিজের সরকারের কাজের খতিয়ান দেওয়ার বদলে একেক বার একেক রকম বিষয় তুলে এনে মানুষের নজর ঘোরানোর চেষ্টা করেছেন। শেষবেলায় রবিবার কেন সাপ্তাহিক ছুটি হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। উল্টো দিকে, কংগ্রেস পাঁচটি ন্যায় এবং মহিলা, বেকার যুবক, কৃষক, শ্রমিক, অনগ্রসরদের জন্য ২৫টি গ্যারান্টি নিয়ে প্রচারে অনড় থেকেছে। লোকসভা ভোটের প্রচারের ভাষ্য এ বার কংগ্রেস ঠিক করে দিয়েছে। নরেন্দ্র মোদীকে হয় তার জবাব দিতে হয়েছে। অথবা মানুষের নজর অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করতে হয়েছে।’’ কংগ্রেসের জনসংযোগ দফতরের চেয়ারম্যান পবন খেরা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী শুধু মন্দির, মঙ্গলসূত্র, মাছ, মাংস, মুসলমান, মহাত্মা নিয়ে প্রচার করে শেষে ধ্যানে চলে গিয়েছেন। মাঝখানে মুজরোও তাঁর প্রচারে এসেছিল।’’