(বাঁ দিকে) মহম্মদ সেলিম। নরেন চট্টোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
বামফ্রন্টের প্রার্থী ঘোষণা পর্ব শেষ হয়েছে। কিন্তু সিপিএমের সঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লকের সংঘাত জারিই রইল। সাংবাদিক বৈঠকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সরাসরি বলে দিলেন, ‘‘আমরা ফরওয়ার্ড ব্লককে বেশি কথা বলতে বারণ করেছি।’’ পাল্টা ফরওয়ার্ড ব্লক রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘পুরুলিয়ায় আমরাই বামফ্রন্ট। ওখানে দেওয়ালে আমরা লিখব, বামফ্রন্টের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থীকে ভোট দিন।’’
পুরুলিয়ায় প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। একক ভাবে সেখানে প্রার্থী দিয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লকও। ধীরেন মাহাতোকে প্রার্থী করেছে তারা। যদিও সেই প্রার্থীর নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেননি বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তা হলে সিপিএম পুরুলিয়ায় কাকে সমর্থন করবে? সেলিম জানিয়েছেন, ‘‘যে নাম বিমান বসু ঘোষণা করেননি, তিনি বামফ্রন্টের প্রার্থী নন। ওখানে তৃণমূল এবং বিজেপি-বিরোধী হিসাবে কংগ্রেস লড়বে। আমরা বামফ্রন্টগত ভাবে তাদের সমর্থন করব।’’
বারাসতে ফরওয়ার্ড ব্লককে প্রার্থী বদল করতে হয়েছে। বুধবার দুপুরে আনন্দবাজার অনলাইনেই প্রথম লেখা হয়েছিল, ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী প্রবীর ঘোষের বিরুদ্ধে বিজেপি-যোগের অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ফরওয়ার্ড ব্লক দুপুরেই রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে। তার পর বামফ্রন্টের বৈঠকে প্রার্থী বদলের বিষয়ে সিলমোহর দেওয়া হয়। সিপিএম-ও চাপ বাড়িয়েছিল এ নিয়ে। বুধবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, বারাসতে ফরওয়ার্ড ব্লক যদি প্রার্থী বদল না-করে তা হলে তারা কাস্তে-হাতুড়ি-তারা প্রতীকে তরুণ কাউকে প্রার্থী ঘোষণা করে দেবে। যদিও তা আর হয়নি। প্রবীরের বদলে সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে ফরওয়ার্ড ব্লক।
তবে কাঁটা রয়ে গিয়েছে পুরুলিয়ায়। যেখানে আবার নিজেদের বামফ্রন্ট বলে দাবি করছে ফরওয়ার্ড ব্লক। পাল্টা সিপিএমের রাজ্য কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সুদীপ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীরা ওখানে দেওয়ালে বামফ্রন্ট সমর্থিত জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী নেপাল মাহাতোর নাম লিখছেন।’’ ফলে পুরুলিয়ার দেওয়ালে বামফ্রন্টের ‘দখল’ নিয়ে যে রেষারেষি শুরু হয়েছে তাতে বাম কর্মীদের বিভ্রান্ত হওয়ার অবকাশ থেকে যাচ্ছে বলেই মত অনেকের।