—প্রতীকী চিত্র।
কংগ্রেসের দার্জিলিং কেন্দ্রের প্রার্থী বাছাই নিয়ে জটিলতা চলছেই। দলীয় সূত্রের খবর, বিনয় তামাং, অজয় এডওয়ার্ড, না অন্য কেউ প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে দিল্লিতে জোর আলোচনা চলছে। বুধবার দিল্লি গিয়েছেন অজয়। সেখানে কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে তাঁর বৈঠকেরও কথা। কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে অজয়কে একাধিক বিকল্পের কথা বলা হয়েছিল। সেই সঙ্গে অজয়ের হামরো পার্টির ইন্ডিয়া জোটে শামিল হওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে। গত দশ দিন ধরে তা নিয়ে কথা চললেও, বিষয়টি নিয়ে কোনও ঘোষণা হয়নি।
সূত্রের দাবি, এর বাইরে কংগ্রেসের তরফে অজয়কে দু’টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসে যোগ দিয়ে দলের প্রার্থী হতে। অথবা হামরো পার্টিতে থাকলেও কংগ্রেসের প্রতীকে প্রার্থী হয়ে লড়তে। যে ভাবে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার পরামর্শদাতা হয়েও গোপাল লামা তৃণমূলের প্রতীকে লড়ছেন। এ সব নিয়ে আলোচনা করতেই অজয় দিল্লিতে গিয়েছেন। অজয় বলেন, ‘‘দু’রকম প্রস্তাবই দেওয়া হয়েছে। আলোচনা চলছে। হামরো পার্টি ইন্ডিয়া জোটে শামিল হবে।’’
কংগ্রেস নেতারা জানান, দলের প্রতীক ছাড়া, অন্য প্রার্থীকে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে সমর্থন করার ক্ষেত্রে নারাজ কংগ্রেস কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আবার কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে হামরো পার্টির নেতৃত্বের একাংশ ভাবছেন। সে কারণে অজয় নিজে প্রার্থী হবেন কি না, তা নিয়েও ঘনিষ্ঠ মহলে আলোচনা হয়েছে বলেও খবর। যদিও অজয় তা নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তিনি শুধু বলেছেন, ‘‘তৃণমূল নয়, বিজেপি নয়, গোর্খাদের স্বাভিমান বজায় রাখতে যা করণীয় তা করা হচ্ছে।’’
এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে তৃণমূল, প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা, বিজেপি, জিএনএলএফের মতো দলকে বাদ দিয়ে বাকিদের নিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার দার্জিলিঙে গোর্খা দুঃখ নিবারণ মঞ্চের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস, হামরো পার্টি, গোর্খা লিগের নেতাদের, কার্শিয়াঙের বিজেপির বিক্ষুব্ধ বিধায়কদেরও মতো নেতাদের থাকার কথা রয়েছে। বিজেপি এবং তৃণমূল-বিরোধী, ‘তৃতীয় ফ্রন্ট’-এর প্রার্থী হিসাবে অন্য একাধিক নাম নিয়েও আলোচনা চলছে। তার মধ্যে বর্তমানে দিল্লিবাসী এক অধ্যাপকের নাম রয়েছে। বৈঠকে থাকার কথা বিমল গুরুংয়ের। ‘তৃতীয় ফ্রন্ট’ করবেন, না কংগ্রেসের মতো বড় দলের সঙ্গে সকলে থাকবেন, তা নিয়েও আলোচনার কথা রয়েছে।
কিন্তু দিল্লির কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রার্থী ঘোষণায় দেরি করায় পাহাড়ের নেতাদের বড় অংশ ক্ষুব্ধ। তাঁদের অনেকেই এখনও বিনয় তামাংকে প্রার্থী হিসাবে চাইছেন। কংগ্রেস নেতাদের একাংশের বক্তব্য, বিনয়ের পরিচিতি পাহাড় ও সমতলে রয়েছে। অজয় বা অন্য কারও তা নেই। আবার সমতলের কেউ প্রার্থী হলে পাহাড়ে তিনি ভোট পাওয়া তো দূরের কথা, ভোট করাবেন কী করে, তা নিয়ে ভাবতে হবে।