—প্রতীকী ছবি।
রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইস্তাহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি দুর্নীতির নমুনা নয় বলেই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
কর্নাটকে ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটের সময়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারে জনগণকে আর্থিক সহযোগিতা করার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা দুর্নীতির নমুনা— এমনই অভিযোগ এনে মামলা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ আজ সেই আর্জি খারিজ করে বলেছে, কোনও রাজনৈতিক দল তাদের ইস্তাহারে যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে, তাকে ওই দলের প্রার্থীর দুর্নীতি হিসেবে দেখা ঠিক নয়। বিচারপতিরা বলেন, ‘‘ইস্তাহারে রাজনৈতিক দল যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে এবং জনগণকে সরাসরি বা ঘুরিয়ে সহযোগিতা করার প্রশ্ন উঠছে, মামলার আবেদনকারীর মতে, সেই বিষয়টি ওই দলের প্রার্থীর দুর্নীতির নমুনা। আবেদনকারীর এমন ভাবনা কষ্ট-কল্পিত এবং
গ্রহণযোগ্য নয়।’’
রাজ্যের ছামরাপেট বিধানসভা কেন্দ্রের এক ভোটার, ইস্তাহারের সঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগ টেনে বিধানসভা ভোটে জয়ী প্রার্থী বি জ়েড জ়ামিরের ফলাফল বাতিল করার আর্জি জানিয়েছিলেন কর্নাটক হাই কোর্টে। বক্তব্য ছিল, ২৩-এর বিধানসভা ভোটে কর্নাটক কংগ্রেস তাদের ইস্তাহারে ভোটারদের আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলেছে। যা দুর্নীতির নমুনা। সেই যুক্তি অবশ্য হাই কোর্ট খারিজ করে দেয়। হাই কোর্টের বক্তব্য ছিল, কংগ্রেস তাদের ইস্তাহারে যে পাঁচটি গ্যারান্টির কথা বলেছে, তাকে সামাজিক উন্নয়নের নীতি হিসেবে দেখা যেতে পারে। অর্থনৈতিক দিক থেকে এগুলি কতটুকু রূপায়ণ করা সম্ভব, তা সম্পূর্ণ আলাদা একটা বিষয়। বিপরীতে থাকা কোনও রাজনৈতিক দল বলতেই পারে, এই ধরনের প্রকল্প রাজ্যের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে, একে ভুল নীতি হিসেবেও চিহ্নিত করা যেতে পারে। কিন্তু বিষয়টিকে কোনও ভাবেই দুর্নীতির নমুনা হিসেবে দেখা সম্ভব নয়। আজ সুপ্রিম কোর্টও কর্নাটক হাই কোর্টের সেই রায়কেই স্বীকৃতি দিয়েছে।
শীর্ষ আদালতের রায়ের পরই কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, এটা বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর উপর আঘাত। কংগ্রেস মুখপাত্র মনিকম টেগোরের কথায়, ‘‘এটা কংগ্রেসের ইস্তাহারের ন্যায় প্রকল্পের স্বীকৃতি।’’ তাঁর দাবি, বিজেপির যাবতীয় ভিত্তিহীন অভিযোগের পরেও কংগ্রেস সামাজিক ন্যায়প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দৃঢপ্রতিজ্ঞ।