—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এ বার ২০১৬ সালের আগে নিযুক্ত হওয়া মাধ্যমিক শিক্ষকদের নিয়োগের নথিও খতিয়ে দেখবে সিআইডি। চাকরিপ্রার্থী সোমা রায়ের করা ভুয়ো শিক্ষক মামলায় সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। রাজ্য জানিয়েছে, আপাতত মোট ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক কর্মরত আছেন। একই সঙ্গে ২০১১ সাল থেকে সব জেলা পরিদর্শকের কাজও খতিয়ে দেখতে বলেছেন বিচারপতি।
এ দিন বিচারপতির নির্দেশ, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) নিয়োগের সুপারিশপত্র এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগপত্র নিয়েই চাকরি হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে হবে সিআইডিকে। এই মামলাতেই প্রথমে মুর্শিদাবাদের গোঠা হাই স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির ছেলে অনিমেষের ভুয়ো নিয়োগের কথা উঠে এসেছিল। সেই ঘটনায় বাবা, ছেলে-সহ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। পরবর্তী কালে বাঁকুড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভুয়ো শিক্ষকের কথাও জানা গিয়েছে।
সোমার আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, গোঠা স্কুলেই আরও এক জন ভুয়ো শিক্ষকের সন্ধান মিলেছে বলে এ দিন সিআইডি জানিয়েছে। সেই ঘটনায় আশিসকে আবার গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ছেলের ভুয়ো নিয়োগের মামলায় আশিস জামিন পেয়েছিলেন। ফিরদৌস আরও জানান, ২০১৬-র আগের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও সীমা টেনে দেননি বিচারপতি।
এই মামলাতেই রাজ্যকে জেলাভিত্তিক সব শিক্ষকের কেন্দ্রীয় তথ্য ভান্ডার তৈরি করতে বলেন বিচারপতি বসু। ফিরদৌস জানান, আপাতত ৬টি জেলার তথ্য ভান্ডার তৈরি হয়েছে। সেই তথ্য মামলাকারীর আইনজীবী হিসেবে তাঁকে দিতে বলেছে আদালত। বাকিগুলো পেলে তিন সব খতিয়ে দেখবেন।