বাহিনী রাখতে চায় কেন্দ্র। —ফাইল চিত্র।
গত বিধানসভা নির্বাচনের পরে রাজ্য জুড়ে ভোট-পরবর্তী হিংসায় বিরোধী দলের দশ জনের বেশি সমর্থক-কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আহত হন অনেকে। সে বার অভিযোগের আঙুল উঠেছিল শাসকদল তৃণমূলের দিকে।
মূলত সেই অভিজ্ঞতার কারণেই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। পাশাপাশি বিভিন্ন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে এ বার লোকসভা নির্বাচনের পরে এ রাজ্য সন্ত্রাসের ছবি ফিরে আসার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। আশঙ্কা, কেন্দ্রীয় বাহিনী এ রাজ্য থেকে প্রত্যাহার করা হলেই শুরু হতে পারে সংঘর্ষ।
তাই আগামী ৪ জুন, লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরেও আরও প্রায় ১৫ দিন এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর। সিআইএসএফ, সিআরপিএফ, বিএসএফ এবং এসএসবি মিলিয়ে ৩২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যের বাছাই করা কিছু এলাকায় মোতায়ন রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সিআইএসএফ-এর কর্তা বলেন, ‘‘পরিস্থিতি অনুযায়ী ১৫ দিনের বেশিও রাখা হতে পারে বাহিনী। তা-ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
উল্লেখ্য, ২০২১-এর ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল। হাই কোর্টের নির্দেশে তার তদন্তভার নিয়ে ৩০টিরও বেশি মামলা দায়ের করে সিবিআই। শাসক দলের কয়েক জন সমর্থক জেল হেফাজতে রয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিকের কথায়, শুধুমাত্র ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নয়, বিগত বছরে পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা অবনতির একের পর এক বড় বড় ঘটনা ঘটে চলেছে। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে ইডি এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে এনআইএ-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা শাসক দলের কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
তাই ভোট মিটলেও বাহিনী রাখতে চায় কেন্দ্র।