—প্রতীকী চিত্র।
সকাল ১০টা: মালদহ দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্রের অভিযোগ, ইংরেজবাজারের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির বুথের বাইরে স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরী জমায়েত করে ভোটারদের প্রভাবিত করেছেন। কাকলির অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী ওই বুথে আধ ঘণ্টার বেশি বসে থেকে ভোটারদের প্রভাবিত করেছেন। উত্তেজনা সামাল দেয় পুলিশ।
দুপুর ১টা: সুজাপুরের গয়েশবাড়ি ১১৫ নম্বর বুথের বাইরে তৃণমূলের এক পোলিং এজেন্ট ও তার ভাইকে মারধরের অভিযোগ। মালদহ দক্ষিণের প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হানের অভিযোগ, কংগ্রেস-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের দলের দু’জনকে মারধর করে। কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরীর দাবি, ঘটনার সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই। তৃণমূল শেষ মুহূর্তে কংগ্রেসকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।
বিকেল ৪টে: মালদহ দক্ষিণের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরীর অভিযোগ, সুজাপুরে মোজমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯২, ১৯৩, ১৯৫, ১৯৬ এবং ২০০ নম্বর বুথে তৃণমূল ‘রিগিং’ করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী, পুলিশ থাকা সত্ত্বেও ওই ঘটনা হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষকের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য, হার নিশ্চিত বুঝে কংগ্রেস ‘ভিত্তিহীন’ অভিযোগ তুলছে।
মঙ্গলবার তৃতীয় দফার লোকসভা নির্বাচনে এই তিনটি অভিযোগ ছাড়া, মালদহ দক্ষিণ আসনে নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণ। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই আসনে ৭৬.৩৪ শতাংশ ভোট পড়ে। মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘‘ভোট নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।’’
এ দিন ভোট শুরু হতেই বুথগুলিতে ভোটারদের লম্বা লাইন পড়ে। কানির মোড়ে ১০৩ নম্বর বুথে ‘ইভিএম’ বিকল হওয়ায় ঘণ্টাখানেক ভোট বন্ধ ছিল। সকাল ৮টা নাগাদ কোতোয়ালি জুনিয়র বেসিক স্কুলে বিদায়ী সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীকে (ডালু) সঙ্গে নিয়ে ভোট দেন তাঁর পুত্র মালদহ দক্ষিণের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা। এর পরেই তিনি বিভিন্ন বুথে ঘুরে বেড়ান। এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ মোথাবাড়ি বিধানসভার পশ্চিম তৌফি প্রাইমারি স্কুলে ভোট দিয়ে বুথে-বুথে ঘোরেন মালদহ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ। সকালে রামকৃষ্ণ মিশন এবং হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়ে ইংরেজবাজার শহরের বুথে-বুথে যান বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ আইটিআই কলেজে ভোট দিয়ে ফের এলাকায় ঘোরেন। শ্রীরূপা বলেন, ‘‘মানুষ যে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিয়েছেন, তাতে জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’’ ইশা বলেন, ‘‘ভোটদানে মানুষের উৎসাহ দেখে জয় নিয়ে আশাবাদী।’’ শাহনওয়াজ বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ, মহিলা ভোটাররা যে মেজাজে ভোট দিয়েছেন, তাতে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আমি।’’