বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া বোমা। — নিজস্ব চিত্র।
ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে নদিয়ার রানাঘাট লোকসভার কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় বোমা উদ্ধার! কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের ভাজনঘাটের পঞ্চায়েত সদস্য দিবাকর রায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল বস্তাভর্তি বোমা। রবিবার সকালে খবর পেয়ে গ্রামে যায় কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব ডিসপোজ়াল স্কোয়াডে। ঘটনার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের।
১৩ মে ভোট রানাঘাটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রানাঘাট পুলিশ জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার ভাজনঘাট পঞ্চায়েতের সদস্য দিবাকরের বাড়ির ঠিক পিছনে বেশ কয়েকটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় মহিলারা। তা দেখে সন্দেহ হয় তাদের। আশপাশের লোকজনকে ডাকাডাকি করেন তাঁরা। জড়ো হন প্রতিবেশীরা। বস্তা খুলে পরীক্ষা করে দেখা যায়, ভিতরে রয়েছে তাজা বোমা! সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় কৃষ্ণগঞ্জ থানায়। পুলিশ আপাতত উদ্ধার হওয়া বোমাগুলি ঘিরে রেখেছে। বোমা নিষ্ক্রিয় করার জন্য বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকেও খবর দেওয়া হয়েছে।
বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য দিবাকরের অভিযোগ, ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে, ভোটারদের সন্ত্রস্ত করতে এই কাজ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের। অন্য দিকে, পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় অবিলম্বে দিবাকরকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।
দিবাকর বলেন, ‘‘ভোটের আগে যেন সাধারণ মানুষ আতঙ্কে থাকেন তাই এই ষড়যন্ত্র করেছে তৃণমূল। আমি ও আমার কর্মী-সমর্থকরা যাতে ভোটের দিন তৃণমূলের সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করতে না পারি তাই আইনি ঝামেলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে আমাকে।’’ তৃণমূলের স্থানীয় নেতা প্রভাকর সরকার বলেন, ‘‘বিজেপি ভোটের দিন বুধ দখল করে ছাপ্পা মারার জন্য বোমা মজুত করেছে। ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার না করলে শান্তিপূর্ণ ভোট সম্ভব নয়।’’