—প্রতীকী চিত্র।
বিজেপির জিনএলএফ-প্রীতি পাহাড়ের অন্য আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে তাদের দূরত্ব তৈরি করেছে বলেই মনে করছেন দলের অনেকে। বস্তুত, কংগ্রেস এবং অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টির তৃতীয় ফ্রন্টের চিন্তাভাবনা নতুন সমীকরণের সম্ভাবনা তৈরি করছে। সে কারণে তৃণমূল, প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছে বিজেপি। কথা বলছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গেও। কংগ্রেসের সঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে যুক্ত হওয়ায় বাকি দলগুলোকে তৃতীয় ফ্রন্ট বা কংগ্রেসের দিক থেকে ফেরাতে কথা চালাচালি শুরু করেছে বিজেপি।
দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিদায়ী সাংসদ তথা এ বারের প্রার্থী রাজু বিস্তা বলেন, ‘‘গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমি কথাও বলছি। তাঁরা আমাদের সঙ্গে আগে ছিলেন। এখনও যাতে থাকেন তা নিয়ে আলোচনা চলছে।’’ বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি (পাহাড়) কল্যাণ দেওয়ান বলেন, ‘‘দিন তিনেক আগেই আমি নিয়ে মোর্চার সঙ্গে কথা বলেছি। কাউকে গুরুত্ব কম দেওয়ার ব্যাপার নেই। বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। তবে দ্রুত কথা বলা হবে। গোর্খা লিগ, সিপিআরএম-সহ অন্য দলগুলোর সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে।’’
এই লোকসভায় জিএনএলএফ বিজেপির সঙ্গে এবং প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা তৃণমূলের সঙ্গে থাকলেও, বাকি আঞ্চলিক দলগুলো তৃতীয় ফ্রন্টের সম্ভাবনা জাগিয়েছে। ইতিমধ্যে তারা বৈঠকও করেছে। যদিও বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে পাহাড়ের বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, তাঁরা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা-সহ অন্য আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছেন। এ দিন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকও ছিল। তা নিয়েও খোঁজখবর নিয়েছে বিজেপি। দলের একটি সূত্রে খবর, এ দিনও মোর্চা নেতৃত্বের সঙ্গে ফোন চালাচালি করে কথা বলে সঙ্গে থাকার জন্য তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করে চলেছেন বিজেপি নেতৃত্বের
একাংশ।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার যুব সভাপতি নমন রাই বলেন, ‘‘আমরা কার সঙ্গে যাব, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। তৃতীয় ফ্রন্টের আলোচনাও হচ্ছে। যথা সময়ে দলের তরফে সব জানানো হবে।’’