ধূপগুড়িতে আজ মোদির জনসভা প্রস্তুতি ক্ষতিয়ে দেখতে জেলা নেতা ও বিধায়করা। ছবি দীপঙ্কর ঘটক।
মহাসড়কের এক পাশে মাঠে তৈরি হয়েছে তিনটি হেলিপ্যাড। অন্য পাশে প্রায় আশি বিঘা জমিতে তৈরি হয়েছে সভামঞ্চ। ধূপগুড়ির ময়নাতলি এলাকায় তিনটে হ্যাঙার টাঙিয়ে তৈরি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার আয়োজন। গত শুক্রবার থেকে কয়েক দফায় হেলিকপ্টার ওঠা-নামার মহড়া হয়েছে। অন্তত ২০টি গাড়ির কনভয় রাখা হয়েছে হেলিপ্যাডের মাঠে। কনভয় চেপে সেখান থেকে সভামঞ্চে যাওয়ার কথা মোদীর। রবিবার দুপুর ২টো বেজে ১৫ মিনিটে সভায় পৌঁছনোর কথা মোদীর।
সভার বিশাল মাঠ নিয়ে খানিকটা চিন্তাতেও রয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিঘার পর বিঘা চাষের জমিকে সমান করে মাঠ তৈরি করা হয়েছে। জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণও দিয়েছে বিজেপি। এত বড় মাঠ যদি ভর্তি না হয় তখন মোদীর জনপ্রিয়তা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। তাই শঙ্কায় রয়েছে বিজেপি। যদিও গেরুয়া শিবিরের আর একটি অংশের দাবি, সভার মাঠের তিন ভাগের দু’ভাগ ভরে যাওয়া মানেই বিপুল জনসমাগম। অন্তত লক্ষ লোক মাঠে এঁটে যাবে বলে দাবি বিজেপি নেতাদের। সে ক্ষেত্রে ভোটের আগে ভিড় দেখিয়ে বিজেপি জেলায় ‘মোদী হাওয়া’ বইছে বলে প্রচার করতে পারবে বলে দাবি। ভিড় জোগাড়ের কোনও উপায়ই বিজেপি ছাড়ছে না। কয়েক হাজার গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে ভিড় আনতে। জলপাইগুড়ি ছাড়াও দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার থেকেও কর্মী-সমর্থকদের আনছে বিজেপি। আজ মোদীর সভা ঘিরে ধূপগুড়ির ময়নাতলিতে সাজ-সাজ চেহারা। শনিবার সকাল থেকে সভাস্থলের আশপাশে বাঁশের কাঠামো তৈরি করে নানান দোকান তৈরি করছেন বাসিন্দারা। বিক্রি হচ্ছে বিজেপির প্রতীক পদ্মের নানা ছবি, পতাকা, টুপি। গড়ে উঠেছে একাধিক ভাতের অস্থায়ী হোটেল, খাবারের দোকান। সকাল থেকেই প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল দেখতে প্রচুর মানুষ ছুটে আসছেন ওই এলাকায়। এক সঙ্গে তিনটি হেলিকপ্টারের অবতরণের মহড়া দেখার জন্য ভিড় জমে গিয়েছিল।
বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “মোদীর সভায় রেকর্ড ভিড় দেখিয়ে দেবে জলপাইগুড়িতে হাওয়া নয়, মোদী সুনামি বইছে। বহু সাধারণ মানুষ মোদীকে দেখতে সভা আসতে চেয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, জানতে চাইছে, কোনও আমন্ত্রণপত্র লাগবে কিনা। আমরা বলছি মোদী সকলের প্রধানমন্ত্রী, সভাও সকলের, সকলেই স্বাগত।