Shantanu Thakur

বনগাঁর ঠাকুরবাড়িতেই ধরনা, বিজেপি প্রার্থী শান্তনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তুতো বোনের প্রতিবাদ

সোমবার সকাল থেকে ঠাকুরবাড়িতে অনশনে বসলেন সাংসদ মমতাবালার মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুর। শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে, বীণাপণি দেবীর ঘরের তালা খুলে দেওয়ার দাবি করেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৪ ২০:৪৩
Share:

বনগাঁর ঠাকুরবাড়িতে অনশনে বসেছেন মধুপর্না ঠাকুর। নিজস্ব ছবি।

বনগাঁর ঠাকুরবাড়ির কোন্দল যেন কিছুতেই থামছে না। এ বার দাদা শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে ধরনায় বসলেন তাঁর জ্যোঠতুতো বোন মধুপর্ণা ঠাকুর। সোমবার সকাল থেকেই প্রয়াত বীণাপাণি দেবীর ঘরের বাইরে ধরনা শুরু করেন। পারিবারিক কোন্দল হলেও, তাতেই রাজনৈতিক রংও লেগেছে। কারণ শান্তনু বনগাঁর বিদায়ী সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য। আর শান্তনুর দাদা সুব্রত ঠাকুর আবার গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক। বিপরীত দিকে মধুপর্ণার মা মমতাবালা ঠাকুর তৃণমূলের হয়ে রাজ্যসভার সাংসদ। এ বারের লোকসভা নির্বাচনেও মমতাবালা প্রকাশ্যেই বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের সমর্থনে জোরদার প্রচারে নেমেছেন।

Advertisement

ঘটনাচক্রে সোমবার সকাল থেকে ঠাকুরবাড়িতে অনশনে বসলেন মমতাবালার মেয়ে মধুপর্ণা। শান্তনুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে, বীণাপণি দেবীর ঘরের তালা খুলে দেওয়ার দাবি করেন তিনি। মধুপর্ণা বলেন, ‘‘শান্তনু তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাদের পৈতৃক ভিটেতে তালা দিয়েছে। আমরা আমাদের ঠাকুর্দা-ঠাকুমার ঘরে ঢুকতে পারছি না। মায়ের সব কিছুই ওই ঘরে রয়েছে। সেই ঘরের তালা খুলে দেওয়ার দাবিতে অনশনে বসেছি। আমরা চাই সারা ভারতবাসী বিচার করুক।’’

মেয়েকে সমর্থন জানিয়ে মমতাবালা বলেন, ‘‘গত মাসের ৭ তারিখে শান্তনু ঠাকুর তার দলবল নিয়ে আমার ঘরে ও বড়মার ঘরে তালা ভেঙে তালা দিয়ে দিয়েছে। তাই প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের মেয়েরা তাদের ঘরে ঢুকতে পারছে না। বঞ্চিত হওয়ার পরে তারা আমরণ অনশনে বসেছে।’’

Advertisement

যদিও মধুপর্ণার অনশনের জবাবে শান্তনু বলেন, ‘‘সম্প্রতি হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে জালিয়াতি হয়েছে, তা চাপা দেওয়ার জন্যই এই নাটক। ওই ঘরে আমরা তালা দিইনি। ওটা মতুয়াদের ঘর, মতুয়ারা ওটা আলাদা করে রেখেছে। মতুয়ারা আগামী দিনে সেই ঘরটিকে হেরিটেজ করবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement