Lok Sabha Election 2024

একই কর্মসূচিতে শান্তনু-স্বপন, ইঙ্গিত কি কোন্দল মেটার?

রবিবার সন্ধ্যায় স্বপনকে বারাসত লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণার ঠিক আগে দু’জনকে এক সঙ্গে দেখা গিয়েছে। গোপালনগরের পাল্লায় শান্তনুর সমর্থনে মিছিল হয়।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র  

বনগাঁ শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪ ০৮:৩৭
Share:

একসঙ্গে শান্তনু-স্বপন। নিজস্ব চিত্র।

বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের সঙ্গে বনগাঁর বিদায়ী সাংসদ (এ বারের প্রার্থী) তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে দলের অন্দরে গুঞ্জন দীর্ঘ দিনের। দলীয় কর্মসূচিতে দু’জনকে এক সঙ্গে কার্যত দেখা যেত না ইদানীং। আরও নানা ঘটনায় ফাটল চোখে পড়ছিল।

Advertisement

তবে রবিবার সন্ধ্যায় স্বপনকে বারাসত লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণার ঠিক আগে দু’জনকে এক সঙ্গে দেখা গিয়েছে। গোপালনগরের পাল্লায় শান্তনুর সমর্থনে মিছিল হয়। সেখানে হাঁটতে দেখা গিয়েছে স্বপনকে। মিছিলের আগে স্বপনের বাড়িতেও গিয়েছিলেন শান্তনু।

ইতিমধ্যে রবিবারই ঘোষণা হয়, বারাসত কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন স্বপন। বিজেপি কর্মীদের কাছে ভোটের আগে দুই নেতার কাছাকাছি আসাটা স্বস্তিদায়ক। এরপরে দলের ঐক্যবদ্ধ ছবিটা মানুষের সামনে তুলে ধরা যাবে বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীদের অনেকেই।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে শান্তনু বলেন, ‘‘মানুষ অনেক কিছুই বলতে পারেন। আমার মুখ থেকে কখনও কিছু শুনেছেন? এটাকে সময়ের দূরত্ব বলা যেতে পারে। ব্যস্ততার কারণে বাইরে থাকতে হয়েছে, সে জন্যই স্বপন মজুমদার, এমনকী আমার দাদার (গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর) সঙ্গেও যোগাযোগ করে উঠতে পারিনি। কথা বলে উঠতে পারিনি। তবে আমাদের মধ্যে কোনও কোন্দল নেই।’’ স্বপনের প্রতিক্রিয়া, ‘‘শান্তনু ঠাকুর বিজেপির প্রতীকে দাঁড়িয়েছেন। আমরা একই পরিবারের সদস্য। কোনও ভেদাভেদ নেই। সবই বিরোধীদের রটনা, কুৎসা। এতে কোনও লাভ হবে না।’’

শান্তনু ও সুব্রতের দূরত্ব নিয়েও জেলা রাজনীতিতে কানাঘুষো শোনা যায়। দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, দুই ভাইয়ের দূরত্ব কমাতে সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী ঠাকুরবাড়িতে এসে দু’জনকে নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। ভোটের মুখে সে ফাটলও জোড়া লাগবে বলে দলের অনেকেরই আশা।

তবে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল। দলের বনগাঁ লোকসভার প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘দলীয় নেতৃত্বের চাপে শান্তনু-স্বপনেরা যতই এক মিছিল হাঁটুন, হৃদয় থেকে কি দূরত্ব মুছে যাবে? সেটা থাকবেই। দলটাই গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement