বালুরঘাটে ফিরতেই বাইক র্যালি করে বাড়ির পথে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। ছবি অমিত মোহান্ত।
বালুরঘাট আসনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে শক্তিশালী সংগঠন দরকার বলে মনে করছে বিজেপি। সোমবার জেলায় ফিরে প্রচারের প্রথম দিনই সংগঠন গোছানোর কাজে নামলেন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত সরকার। লোকসভার সমস্ত মণ্ডল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের ডেকে উৎসাহ জোগানোর চেষ্টা করেন তিনি। একই সঙ্গে ‘পরিবারতন্ত্রের’ তোপ দাগেন তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের বিরুদ্ধে।
ভোটে জিততে ভাবমূর্তি ছাড়াও মজবুত সংগঠন চাই। ভোট প্রচারের প্রথম দিন থেকেই বুথ সামাল দিতে দলীয় কর্মীদের ক্লাস নিলেন সুকান্ত। এ দিন বালুরঘাট আসনের বেশিরভাগ মন্ডল সভাপতি এবং দু'জন করে সাধারণ সম্পাদককে ডাকা হয়েছিল জেলা কার্যালয়ে।সূত্রের দাবি, সুকান্ত দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে বলেন, ‘‘আগের বার আমায় কার্যকর্তারাই জিতিয়েছিলেন। আপনারা আমাকে নয়, মোদীজিকে (প্রধানমন্ত্রী) জেতান। কাজে নেমে সমস্যা হলে, আমি সামলে নেব।’’ সক্রিয়তা দেখাতে গিয়ে ঝামেলায় জড়ালে বালুরঘাটের প্রাক্তন বিডিওকে চেয়ার ছোড়ায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতা সুভাষ সরকারের মতো জামিন করিয়ে আনা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় বৈঠকে।
এ দিন সকালে বালুরঘাট স্টেশন থেকে মোটরবাইক চালিয়ে বাড়ি ফেরেন সুকান্ত। পরে, বুড়ি কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে জেলা তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের বিরুদ্ধে পরিবার তন্ত্রের অভিযোগ তোলেন তিনি। বলেন, ‘‘বিপ্লবকে কলকাতায় কেউ চেনেন না, বরং, অর্পিতাকে চেনেন। অর্পিতাকে যখন হারানো গিয়েছে, বিপ্লব মিত্রকেও হারানো যাবে। তিনি জেলায় পরিবারতন্ত্র চালান।’’ বিপ্লব মিত্রের ভাই প্রশান্ত মিত্র গঙ্গারামপুর পুরসভার পুরপ্রধান। এক ভাই চিরঞ্জীব মিত্র বুনিয়াদপুর আদালতের এপিপি। জেলা তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের পাল্টা দাবি, তাঁর ভাইদের রাজ্য নেতারা দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, "গত পাঁচ বছরে সুকান্ত কী করেছেন, আমি কী করেছি, মনোনয়ন দিয়ে তা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করব। ২০১৯ সালে সুকান্তকে জেলা বিজেপিরই অনেকে চিনতেন না।’’