অর্জুন সিংহ। —ফাইল চিত্র।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তৃণমূল মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন ব্যারাকপুর ও বারাসতের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহ এবং স্বপন মজুমদার।
সোমবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জে প্রচার সভায় এসে এ কথা বলেন তাঁরা। দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ সহ আশপাশের এলাকার এই অংশে ওপার বাংলা থেকে আসা বহু উদ্বাস্তু মানুষের বাস। হাবড়া ও কৃষ্ণনগরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কেউ সিএএ-তে আবেদন করবেন না। আবেদন করলেই বিদেশি হয়ে যাবেন। সোমবার তার পাল্টা, মমতার নাম না করে অর্জুন বলেন, ‘‘সরকারের তৈরি আইন নিয়ে সরকারের পদে বসে এক জন বিরোধিতা করছেন। অথচ, নাগরিকত্ব আইন যে দিন এসেছিল, পাশ হয়েছিল, সে দিন শান্তনু ঠাকুরকে বাংলার বিরোধী দলের অনেক সাংসদ ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।’’
অর্জুনের মতে, ‘‘কখনও কখনও আমরা যারা রাজনীতি করি, তারা ব্যক্তিস্বার্থে সঠিক কাজেরও বিরোধিতা করি। এটা ঠিক নয়। পূর্ববঙ্গ থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া সঠিক কাজ। এটা নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক হচ্ছে না। বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা করছে।’’ অর্জুনের কথায়, ‘‘নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এঁরা এক বার ভুল বোঝাতে পারবেন, দু’বার ভুল বোঝাবেন, কিন্তু মানুষ যখন সঠিকটা বুঝে যাবেন, তখন কেউ আর বিশ্বাস করবেন না। আপনাকে (মমতা) কেউ এখন আর বিশ্বাস করেন না।’’
এ দিন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের ব্যাখ্যার সমালোচনা করে অর্জুন বলেন, ‘‘আইনে সংখ্যালঘুদের তাড়িয়ে দেওয়ার বিধান নেই। তবুও আপনি সংখ্যালঘুদের ভয় দেখিয়েছেন ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে। তাড়িয়ে দেওয়া হবে। সংখ্যালঘুরা এখন আপনাদের কথা বিশ্বাস করেন না।’’ স্বপনের মতে, দেশভাগের সময়ে কংগ্রেস যদি নাগরিকত্ব আইন ঠিকঠাক করত এবং ১৯৭১ সালে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির সময়েও সঠিক ভাবে আইন করত, তা হলে আজ এত সমস্যা হত না।
বারাসতের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন যেটা করেছিল, সেটা আমাদের ভাল রকম পড়া আছে। সেখান থেকে সরে এসে বিজেপি মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। অসমে বহু মানুষকে বিপদে ফেলেছিল বিজেপি সরকার। সেটা ভুলে গেলে চলবে না।’’