Lok Sabha Election 2024

আশি হাজার ভুয়ো ভোটার, নালিশ পদ্মের

মঙ্গলবার বিষ্ণুপুর লোকসভার প্রতিটি ব্লকে এই মর্মে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অমরনাথ শাখা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:০৭
Share:

—প্রতীকী ছবি

কোথাও মহিলার নাম একই রয়েছে, কিন্তু স্বামীর নাম বারবার বদলে নতুন নতুন ভোটার কার্ড তৈরি করা হয়েছে। কোথাও আবার নাম, বাবার নাম অপরিবর্তিত থাকা সত্ত্বেও একাধিক ভোটার কার্ড রয়েছে। আবার একই ব্যক্তির শহর ও গ্রাম দু’জায়গাতেই ভোটার কার্ড রয়েছে, এমনই ভোটার কার্ডের সংখ্যা বহু। মৃত্যুর পরেও নাম বাদ না দেওয়া ভোটার কার্ডও রয়েছে বিস্তর। সব মিলিয়ে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে ৮০ হাজারের বেশি এমন ভুয়ো ভোটার রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তাদের দাবি, ওই ভুয়ো ভোটারদের ভরসাতেই তৃণমূল ভোট বৈতরণী পার হচ্ছে। ভুয়ো ভোটারের অস্তিত্বের কথা মানছে সিপিএম এবং কংগ্রেসও। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব তা মানেননি।

Advertisement

লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। বিজেপি শিবিরের দাবি, বিষ্ণুপুর লোকসভা এলাকায় প্রতিটি বুথ ধরে সমীক্ষা করে তারা জানতে পেরেছে , ৮০ হাজারের বেশি ভুয়ো ভোটার রয়েছে।তাদের দাবি, একই ভোটারের নাম একাধিকবার, একাধিক ঠিকানা দিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে। মৃত ভোটারের নামও বাতিল করা হয়নি। কোথাও আবার মহিলা ভোটারের স্বামীর নাম বদলে দিয়ে বারবার ভোটারকার্ড তৈরি করা হয়েছে। কোথাও আবার ভোটারের নামধাম, বাবার নাম এক থাকলেও বদলে গিয়েছে বুথ ও ভোটের পরিচয়পত্রের নম্বর।

মঙ্গলবার বিষ্ণুপুর লোকসভার প্রতিটি ব্লকে এই মর্মে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অমরনাথ শাখা। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক তাপস বসুর দাবি, ‘‘বিষ্ণুপুর লোকসভায় ৮০ হাজারের বেশি ভুয়ো ভোটার রয়েছে। সমীক্ষা করে পাওয়া রিপোর্ট আমরা এ দিন প্রতিটি ব্লক, মহকুমাশাসক ও জেলাশাসকের কার্যালয়ে জমা দিলাম। পরিকল্পনা করেই ভুয়ো ভোটার নিয়েই তৃণমূল লোকসভা ভোটে জয়ের ছক কষেছিল। প্রশাসনের কাছে আমরা ভোটার তালিকা সংশোধন করার আবেদন জানিয়েছি।’’

Advertisement

মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তবে তদন্ত না করে এই মুহূর্তে কিছু বলা মুশকিল। তালিকা খতিয়ে দেখা হবে।”

ভুয়ো ভোটার রয়েছে বলে মানছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য স্বপন ঘোষও। তাঁর দাবি, ‘‘ভুয়ো ভোটার রয়েছে বই কি। নিয়মের মারপ্যাঁচে অনেক সময় ভুয়ো ভোটার থেকে যাচ্ছে। পরিবারের লোক মারা গিয়েছে জানালে হবে না, মৃত্যুর শংসাপত্র দিতে হবে। কিন্তু তা সবার পক্ষে সম্ভব নয়।’’ বিজেপির বিরুদ্ধেও তিনি দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘বিজেপি যেখানে শাসন করছে, সেখানে ওদের ভুয়ো ভোটার ধরার তৎপরতা কোথায়?’’

বাঁকুড়া জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবু চট্টোপাধ্যায়ও বলেন , “প্রচুর ভুয়ো ভোটার রয়েছে। আমাদেরও দাবি, ভোটার তালিকা যথাযথ হওয়া দরকার।”

যদিও বিরোধীদের দাবি মানতে নারাজ তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ‘‘সারা বছর মানুষের পাশে ওদের পাওয়া যায় না। নির্বাচন এলেই বাজার গরম করতে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে বেড়ায়। সরকারি নির্দেশিকা মেনে ভোটার তালিকা বারবার সরেজমিনে গিয়ে সংশোধন করা হয়। তারপরেও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement