Lok Sabha Election 2024

স্ট্রং রুমের নিরাপত্তা নিয়ে সৌমিত্রের অভিযোগের সারবত্তা নেই, তদন্তের পর জানাল প্রশাসন ও পুলিশ

স্ট্রং রুমের পাশে দাঁড়িয়ে ফেসবুক লাইভে সৌমিত্র খাঁ অভিযোগ করেছিলেন সিসি ক্যামেরা পাল্টে ইভিএম বদল করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। মোটা টাকার বিনিময়ে সেই কাজে মদত দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৪ ১৯:২৯
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

ফেসবুক লাইভে স্ট্রং রুমের নিরাপত্তা নিয়ে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের তোলা অভিযোগকে ‘সারবত্তাহীন’ এবং ‘বিভ্রান্তিমূলক’ বলে জানিয়ে সমাজমাধ্যমেই পোস্ট করল জেলা পুলিশ। বুধবার এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) বাঁকুড়ার জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপার পৃথক ভাবে পোস্ট করে জানান, স্ট্রং রুমের নিরাপত্তা অটুট রয়েছে। আর এ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

Advertisement

গত ২৭ মে বিষ্ণুপুর কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্ট্রং রুমের পাশে দাঁড়িয়ে ফেসবুক লাইভ করেন সৌমিত্র। তিনি অভিযোগ করেন সিসি ক্যামেরা পাল্টে ইভিএম বদল করার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশ। আর মোটা টাকার বিনিময়ে সেই কাজে মদত দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তিনি এ-ও দাবি করেন যে রাজ্য পুলিশের আধিকারিকেরা এক্তিয়ার-বহির্ভূত ভাবে স্ট্রং রুমে ঢোকার চেষ্টা করেছেন। তখনই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল পুলিশ। তবে সৌমিত্র তাঁর অভিযোগ লিখিত আকারে জমা দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনে। তদন্ত শুরু করে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। স্ট্রং রুম চত্বরে পৌঁছে যান বিষ্ণুপুর লোকসভার রিটার্নিং অফিসার এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা।

পরবর্তী কালে স্ট্রং রুমের নিরাপত্তা সংক্রান্ত অভিযোগ সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক সিয়াদ এন এবং জেলা পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি। তদন্তে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে শেষ পর্যন্ত সৌমিত্রের অভিযোগ ‘সারবত্তাহীন’ বলে দাবি করেছে পুলিশ এবং প্রশাসন। বাঁকুড়ার জেলাশাসক সিয়াদ এন বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পর ওই কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার ছাড়া আমি নিজেও পুলিশ সুপারকে সঙ্গে নিয়ে তদন্ত করেছি। স্ট্রং রুমের সিসি ক্যামেরা যেমন লাগানো হয়েছিল, তেমনই রয়েছে। স্ট্রং রুমের দরজার সিলও আগের অবস্থায় রয়েছে। ইতিমধ্যে তা অভিযোগকারীকে দেখানো হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সিসি ক্যামেরার ফুটেজে যে পুলিশ আধিকারিককে স্ট্রং রুমের সামনে দেখা গিয়েছিল সেই আধিকারিক নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সমস্ত নিয়মকানুন মেনেই সেখানে গিয়েছিলেন। আমরা স্ট্রং রুমের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও রকম গাফিলাতি খুঁজে পাইনি।’’

Advertisement

জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপার সমাজমাধ্যমে বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ নস্যাৎ করে দেওয়ার পর সৌমিত্রের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা বলেন, ‘‘সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে স্ট্রং রুমের বাইরে রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিককে। স্ট্রং রুমের বাইরে সিসি ক্যামেরার যন্ত্রপাতি হাতে এক ব্যক্তিকে ঘোরাফেরা করতেও দেখা গিয়েছিল। নিশ্চিত ভাবেই তাঁদের কোনও পরিকল্পনা ছিল। শেষ অবধি ধরা পড়ে যাওয়ায় এখন বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছে প্রশাসন ও পুলিশ।’’

অন্য দিকে, বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী, সৌমিত্রের প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘‘বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী-সহ বিজেপির সকলকেই এখন হারের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সকলেই উল্টোপাল্টা অভিযোগ এবং মন্তব্য করে প্রশাসন ও পুলিশের ঘাড়ে দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। এতে কোনও লাভ হবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement