শিলিগুড়ির সমর নগর বটতলায় লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামার সমর্থনে প্রচার সভা। ছবি বিনোদ দাস।
সকাল থেকে দিনভর রবিবাসরীয় প্রচারে জমজমাট তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামার। জেলা তৃণমূল সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষও ছিলেন দলের প্রার্থীর সঙ্গে। কখনও লোকের বাড়ি, কখনও হাটে বাজারে প্রচার, জনসভা, কর্মীদের নিয়ে বৈঠক—সবই ছিল প্রার্থীর এ দিনের প্রচারে। রবিবার ছুটির দিনে বাসিন্দারা বাড়িতেই থাকেন। তাঁদের বাড়িতে পাওয়া যায়, কথা বলা যায়। সে জন্য রবিবারের প্রচারের গুরুত্ব বেশি অনেকের কাছেই। তবে বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা থখনও ঘোষণা না-হওয়ায়
তাদের প্রচারের সেই রকম তৎপরতা দেখা যায়নি।
এ দিন তুম্বাজোতে তৃণমূলের মাটিগাড়া ২ অঞ্চল কমিটির উদ্যোগে প্রাক্-দোল উৎসবের আয়োজন করা হয়। তাতে অংশ নেন প্রার্থী, জেলা সভানেত্রীরা। সেখানে দলের জেলা সভানেত্রীকে কর্মী-সমর্থকেরা রং দিতে গেলে তিনি জানিয়ে দেন অনেক জায়গাতেই প্রাক্-দোল উৎসবের যাচ্ছেন। প্রচার করছেন, তবে কোথাও রং লাগাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘‘কর্মীদের বলেছি এ বছর দোলে রং খেলব না। প্রার্থীর জয় ঘোষণার পরে সবুজ আবিরে রং খেলব।’’
সকালে মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচারে বার হন তৃণমূল প্রার্থী। সেখান থেকে আঠেরোখাই গ্রাম পঞ্চায়েত তথা শিবমন্দির এলাকায় ঘণ্টা তিনেক বাড়ি বাড়ি প্রচার সারেন। সঙ্গে দলের কর্মী সমর্থকেরা থাকায় মিছিলের চেহারা নেয়। সেখানে বাসিন্দাদের মধ্যে লক্ষ্ণীর ভান্ডার, কন্যাশ্রীর মতো বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা তুলে ধরে প্রচার চালান। সেই কেন্দ্রে থাকা বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরেন। তৃণমূলের তরফে কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে ‘অধিকার যাত্রা’ কর্মসূচি ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি কর্মসূচি সেরে মাটিগাড়া-২ নম্বর অঞ্চল কমিটির দোল উৎসবে যোগ দেন। আপার এবং লোয়ার বাগডোগরায় হাটে যোগ দেন। গোসাইপুর, রানিডাঙা এবং নকশালবাড়িতে কর্মিসভা করেন। সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির চম্পাসারিতে জনসভাও হয়। রবিবার শিলিগুড়ি সমরনগরে গোপালের বক্তব্য, ‘‘সমতলেও মানুষের সমর্থন পাচ্ছি। সমতলে অনেক ভোট। মানুষ তৃণমূলকে চাইছেন। পাহাড়, সমতল মিলে দলকে জেতাতে হবে। সেজন্য পাহাড়ের মানুষের মত সমতলেও মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে।’’ বিজেপির প্রাক্তন সাংসদের দত্তক নেওয়া গ্রাম হাতিঘিসায় গিয়ে জনসংযোগ করেন। একই ভাবে ফাঁসিদেওয়া খড়িবাড়িতেও যান তিনি। চা বাগান এলাকায়, রাজবংশী, আদিবাসী সংগঠনকে মজবুত করতে দলকে আরও সক্রিয় হয়ে নামার বার্তা দেন।
অন্য দিকে, কংগ্রেস প্রার্থী কে হবেন তা নিয়েই দলের অন্দরে টানাপড়েন চলছে। দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা এআইসিসি’র সদস্য জীবন মজুমদার বলেন, ‘‘প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় আমরা এই রবিবারের প্রচারকে কাজে লাগাতে পারলাম না।’’