রেখা পাত্র। —ফাইল চিত্র।
আবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র? বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির কনভেনর বিকাশ সিংহ দাবি করলেন, তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতায়। এর জেরে স্থগিত শুক্রবারের ভোটপ্রচার। অন্য দিকে, রেখার দাবি, তিনি সুস্থই আছেন। ভোটের প্রচারেও বেরোবেন। আনন্দবাজার অনলাইনকে রেখা বলেন, ‘‘সর্দি-গরম ছিল একটু। এমন কিছু অসুস্থ নই।’’
বিজেপি সূত্রে খবর, শুক্রবার বসিরহাট পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটের প্রচারে বেরোনোর কথা ছিল রেখার। প্রচার শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল ১১টা নাগাদ। তার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন রেখা। তড়িঘড়ি তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রেখা অবশ্য এই দাবি মানতে চাননি। তিনি জানিয়েছেন, তিনি প্রচারে বেরোবেন। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ বামুনপুকুরের বিজেপি কার্যালয়ে যাবেন তিনি। যা কর্মসূচি রয়েছে, চালিয়ে যাবেন।
গত মাসেও এক বার ভোটের প্রচারে বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রেখা। সন্দেশখালিতে সভা করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁকে কল্যাণী এমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই সময় বিজেপি সূত্রে খবর ছিল, অতিরিক্ত চাপ ও গরমে শরীরে জলের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রেখা।
সন্দেশখালিতে বিক্ষোভ আছড়ে পড়ার পর থেকেই সংবাদমাধ্যমের পর্দায় বার বার ভেসে উঠেছিল রেখার মুখ। নারী নির্যাতনের একের পর এক অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে অচিরেই ‘প্রতিবাদী মুখ’ হিসাবে পরিচিত হন সন্দেশখালির ভূমিকন্যা। এর পরেই তাঁকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে বিজেপি। দলীয় সূত্রে দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘কথাতেই’ নাকি দিল্লিবাড়ির লড়াইয়ে নেমেছেন রেখা।
গত ৬ মার্চ বারাসতে সভা করতে এসে মোদী সন্দেশখালির কয়েক জন ‘নির্যাতিতা’ মহিলার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানেও নাকি ছিলেন রেখা। বিজেপি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীকে সন্দেশখালির ঘটনার বিবরণ দেন মহিলারা। সেই সময় ওই মহিলাদের কথা মন দিয়ে শোনেন প্রধানমন্ত্রী। বসিরহাট আসনের জন্য তখনই রেখার কথা ভেবে রাখেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ঘুণাক্ষরেও কাউকে টের পেতে দেওয়া হয়নি। রেখাকে প্রার্থী করার পিছনে পদ্মশিবিরের অঙ্ক রয়েছে। বিজেপি চাইছে, তাঁকে সামনে রেখে গোটা রাজ্যে মহিলাদের উপর অত্যাচারের অভিযোগকে আরও তীব্র করা যাবে। বিজেপির ধারণা, শুধু বসিরহাটেই নয়, গোটা রাজ্যের ভোটে তার সুফল মিলবে। বসিরহাটে এমনিতেই বিজেপির সংগঠন মজবুত নয়। তবে রেখা প্রার্থী হওয়ায় লড়াই সহজ হবে বলেও মনে করছেন দলের রাজ্য নেতারা।