অমিত শাহ। —ফাইল ছবি।
লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব শুরুর আগে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় শক্তিশালী সরকার গঠনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। তাতে পোক্ত হচ্ছিল শেয়ার বাজারের ভিত। কিন্তু প্রথম তিনটি পর্যায়ে ভোটদানের হার কম হওয়ার পরে সেখানে অস্থিরতা বেড়েছে। শেয়ার সূচকের সংশোধনও হচ্ছে ধারাবাহিক ভাবে। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় তৈরি হচ্ছে লগ্নিকারীদের মধ্যে? এক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাজারের অস্থিরতার সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের সম্পর্ক খুঁজতে বারণ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বরং তাঁর পরামর্শ, লগ্নিকারীরা এখনই শেয়ার কিনুন। ৪ জুন বিপুল উত্থান হবে। আসবে মুনাফা।
সোমবার শাহ বলেন, ‘‘শেয়ার বাজারের গতিবিধি সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারব না। তবে কেন্দ্রে স্থায়ী সরকার তৈরি হলে সূচকের বড় উত্থান হয়। আমি দেখতে পাচ্ছি বিজেপি ৪০০-র বেশি আসন পাবে এবং শক্তিশালী মোদী সরকার গঠিত হবে। ফলে এগোবে বাজার।’’
শাহ এমন দিনে এই বার্তা দিয়েছেন যখন দেশের ৯৬টি লোকসভা আসনে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ চলছে। লেনদেনের মাঝে সেনসেক্স নেমে গিয়েছে ৭৯৮.৪৬ পয়েন্ট। গত সাত দিনের লেনদেনের মধ্যে ছ’দিন নিম্নমুখী নিফ্টিও। তবে সোমবার দিনের শেষে সেই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে বাজার। গত শুক্রবারের তুলনায় ১১১.৬৬ পয়েন্ট উঠে ৭২,৭৭৬.১৩ অঙ্কে থেমেছে সেনসেক্স। নিফ্টি ৪৮.৮৫ পয়েন্ট উঠে হয়েছে ২২,১০৪.০৫। সূচককে এগোতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এবং টিসিএস। তবে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, মে মাসের অর্ধেকও পেরোয়নি। তার মধ্যেই সেনসেক্স ১৮৩৪.৯৮ পয়েন্ট হারিয়েছে। নিফ্টি নেমেছে ৫৪৪.১৫।
জিয়োজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস-এর গবেষণা শাখার প্রধান বিনোদ নায়ারের কথায়, ‘‘এ দিন বাজার ঘুরে দাঁড়ালেও লগ্নিকারীদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ কাজ করছে। অর্থনীতির বাস্তব অবস্থার তুলনায় সূচক এখনও উঁচুতে। সেটাও সংশোধনের কারণ।’’