সিরিয়া পারভিন (বাঁ দিকে)। অমিত মালবীয় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার অন্যতম নেত্রী সিরিয়া পারভিন বৃহস্পতিবার যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে শাসকদল দাবি করল, সিরিয়াকে ফোন করে বিজেপিতে ফিরে যাওয়ার আবেদন করেছেন বঙ্গ বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক তথা পদ্মশিবিরের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয়। এই দাবির সপক্ষে মিনিট চারেকের একটি অডিয়ো ক্লিপও প্রকাশ্যে এনেছে তৃণমূল। যদিও এই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
অডিয়ো ক্লিপে একটি নারীকণ্ঠ এবং একটি পুরুষকণ্ঠ শোনা যাচ্ছে। তৃণমূলের দাবি, নারীকণ্ঠটি সিরিয়ার এবং পুরুষকণ্ঠটি অমিতের। নারীকণ্ঠে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আপনার সঙ্গে আমি ১০ মিনিট কথা বলতে চেয়েছিলাম। আপনাকে মেসেজও করেছিলাম। কিন্তু আপনার কোনও রেসপন্স (জবাব) পাইনি।’’ পুরুষকণ্ঠকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘আপনি যখন আমায় ফোন করেছিলেন, তখন আমি একটা মিটিংয়ে ছিলাম। সেই মিটিং ভোর ৩টের সময়ে শেষ হয়।’’ এর পর আবার নারীকণ্ঠে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘আপনি নিশ্চয়ই লাইভে দেখেছেন, আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।’’ তার পর পুরুষকণ্ঠে শোনা যাচ্ছে, ‘‘আপনি যদি বিজেপিতে ফিরতে চান, তা হলে আমি ব্যবস্থা করব। আমি বসিরহাটে গিয়ে কথা বলব। নির্বাচনের পরেও আরও অনেক নির্বাচন আসবে। আর যে ভাবে ওদের পার্টি (তৃণমূল) চলছে, তাতে বেশি দিন টিকবে না।’’
এই অডিয়ো প্রকাশ করে তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। শাসকদলের বক্তব্য, যে হেতু সিরিয়া ‘সন্দেশখালি ষড়যন্ত্রের’ অনেক কিছু জানেন, তাই তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে বিজেপি দিশেহারা হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের দাবি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিরিয়া তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অমিত ওই ফোন করেছিলেন।
তৃণমূল যে অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে এনেছে, তাতে মহিলাকণ্ঠে এ-ও বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘রাজনীতির জন্য মহিলাদের গায়ে যে তকমা লাগানো হয়েছে, যা চলছে, সে বিষয়ে জানানোর জন্য আপনাকে ফোন করেছিলাম।’’ কথা প্রসঙ্গে ‘পিঠে বানানো’র বিষয়ও বলা হয়েছে। কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় নামক এক ব্যক্তির সম্বন্ধে সমালোচনা শোনা যাচ্ছে নারীকণ্ঠে। সোমেন রাই নামের এক জনের নামোল্লেখ করে বলা হচ্ছে, তাঁকে ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি।
অডিয়ো প্রসঙ্গে রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘যিনি বিজেপিতে ছিলেন, তিনি যদি তৃণমূলে যোগ দেন, তা হলে সংগঠক হিসেবে কেন তিনি গেলেন তা জানার জন্য ফোন করতেই পারেন। এর মধ্যে অন্যায়ের তো কিছু নেই।’’