—প্রতীকী ছবি।
নির্বাচনের আগের রাতে সন্দেশখালির বেড়মজুর গ্রামে পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপির বুথ এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মারধর, গালিগালাজ করা ও হুমকির দেওয়ার অভিযোগ উঠল। বিজেপির বেশ কিছু বুথ এজেন্টকে পুলিশ শুক্রবার রাতেই গ্রেফতার করেছে বলে বিজেপির দাবি।
গোটা ঘটনা নির্বাচন কমিশন ও বসিরহাটের পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে বলে জানান বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার পর্যবেক্ষক অর্চনা মজুমদার। তাঁর দাবি, বিজেপির বহু নেতা-কর্মীর নামে পুলিশ মিথ্যে মামলা দিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। সেই সব মামলায় পুলিশ চাইছে নির্বাচনের আগের রাতেই যেমন করে হোক, তাঁদের গ্রেফতার করতে। যাতে তাঁরা নির্বাচনের দিন বুথে এজেন্ট হিসেবে বসতে না পারেন।
বিজেপির আরও দাবি, সরবেড়িয়া ও বেড়মজুর এলাকার প্রায় এক হাজার তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীকে পুলিশ মদত দিয়ে ঢুকিয়েছে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করার জন্য এবং বিজেপির নেতা-কর্মীদের উপরে আক্রমণ করার জন্য। গোটা বেড়মজুর এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে পুলিশ বিজেপির বুথ এজেন্টদের বাড়িতে গিয়ে দরজায় লাথি মারে। মহিলাদের গালিগালাজ করে।
এই অভিযোগ নিয়ে বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমানকে ফোন এবং এসএমএস করা হলেও তাঁর কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর দাবি, ‘‘বিজেপি বুঝে গিয়েছে ভোটের দিন প্রতিটি বুথে তারা এজেন্ট বসাতে পারবে না। তাই আগের রাত থেকেই ভিত্তিহীন অভিযোগ করতে শুরু করেছে তৃণমূল ও পুলিশের বিরুদ্ধে।’’
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) অভিযোগ করেন, ‘চপ্পল পরা ও সাদা পোশাকের পুলিশ এবং সিভিক ভলান্টিয়ারেরা সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ভোটারদের, বিশেষত মহিলাদের, ভয় দেখাচ্ছেন ও হুমকি দিচ্ছেন।’
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির আন্দোলন পর্বে এই বেড়মজুর এলাকাতেই বিজেপি বেশি প্রভাব বিস্তার করে। তৃণমূল এই এলাকায় অনেকখানি কোণঠাসা হয়ে পড়েছে সন্দেশখালি আন্দোলনের জেরে। যা নিয়ে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বকে বিভিন্ন সময় আক্ষেপ প্রকাশ করতেও দেখা গিয়েছে। ভোটে এই এলাকায় তৃণমূলের ফল কেমন হবে, তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে দলের অনেক স্থানীয় নেতাকে।