—প্রতীকী ছবি।
সিএএ বিরোধী কর্মসূচির উপরে হামলার অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার হেলেঞ্চায়। ‘দামাল বাংলা’ (দলিত আদিবাসী মাইনরিটি আন্দোলন লিগ) নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সিএএ বিরোধী প্রচার চলছিল শনিবার রাতে। সংগঠনের সদস্যেরা গাড়িতে মাইক বেঁধে প্রচার চালাচ্ছিলেন। অভিযোগ, দু’দফায় তাঁদের উপরে হামলা করে বিজেপির লোকজন। প্রথমে কয়েক জনের মোবাইল কেড়ে নেয়, হুমকি দেয়। পরে মাইকের তার ছিঁড়ে দেওয়া হয়, মারধরের চেষ্টা হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
দামাল বাংলার পক্ষে মানিক ফকির বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য জুড়েই প্রচার করছি। সিএএ নিয়ে বিজেপির যেমন মিথ্যা বলার স্বাধীনতা আছে, তেমনই সত্যিটা বলার স্বাধীনতা আমাদের আছে। সিএএ পোর্টালে কেউ আবেদন করলে তিনি অবৈধ, বে-নাগরিক হয়ে যাবেন।’’ তাঁর দাবি, সিএএ-তে ৩১,৩১৩ জনের বেশি কেউ আবেদন করতে পারবেন না। মানিকের অভিযোগ, তাঁদের কর্মসূচির উপরে হামলা চালিয়েছে বিজেপি।
ঘটনার নিন্দা করে তৃণমূলের বনগাঁ লোকসভার প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘বিজেপি যে একটা উচ্ছৃঙ্খল দল, তা আরও এক বার প্রমাণ হল। বাংলায় সেই সংস্কৃতি আছে, এখানে যে কোনও সংগঠন তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। বিজেপি সেই সংস্কৃতি নষ্ট করতে চাইছে।’’
হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের দাবি, ‘‘দামাল বাংলা এবং তৃণমূল একই। তৃণমূল নতুন নতুন নাম নিয়ে সিএএ প্রসঙ্গে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। যে সব মতুয়া উদ্বাস্তু মানুষ নাগরিকত্ব পেতে চান, তাঁরাই বাধা দিয়েছেন।’’
কয়েক দিন আগে বনগাঁ শহরের বাটার মোড়ে ‘বাংলা পক্ষ’ নামে একটি সংগঠনের সিএএ বিরোধী পথসভা চলাকালীন সেখানেও হামলার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। সংগঠনের পক্ষে রবিবার বনগাঁ শহরে মিছিল হয়। ওই ঘটনাতেও জড়িত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।