অধীর চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থিতালিকা এখনও ঘোষণা হয়নি। বামেদের সঙ্গে আসনরফাও হয়নি পুরোপুরি। তার আগেই দিল্লিবাড়ির লড়াইয়ে বাংলায় কোথায় কোথায় দল প্রার্থী দিতে পারে, তার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। প্রত্যাশিত ভাবেই বহরমপুর থেকে নিজের প্রার্থী হওয়ার কথা জানিয়ে অধীরের ইঙ্গিত, বাংলায় ১২টি আসনে প্রার্থী দিতে পারে কংগ্রেস। আসনরফার প্রশ্নে বাম শরিকদের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করলেন অধীর।
বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের আসনরফা ও প্রার্থী ঘোষণা কেন এখনও হল না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের দাবি, মূলত কংগ্রেসের কারণেই এই বিলম্ব। বুধবার অধীর জানান, দু’-এক দিনের মধ্যে প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করবেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তার আগে নিজেই কয়েকটি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম জানিয়ে দিলেন। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানান, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর আসন থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে লড়বেন মোর্তাজা হোসেন ওরফে বকুল। কিন্তু মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী দিচ্ছে না। অনেক দিন ধরেই জল্পনা, এ বার মুর্শিদাবাদ আসনে প্রার্থী হতে পারেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। অধীরও বললেন, ‘‘ওই আসনে সম্ভবত সেলিম দাঁড়াবেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কংগ্রেসের প্রার্থিতালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রার্থীরাও সব জানেন। দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে।’’
আলিপুরদুয়ারের আসনটি না-পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন অধীর। তিনি বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ার আসন আমরা চেয়েছিলাম। কিন্তু ওখানে আরএসপির একজন নিজেই দাঁড়িয়েছেন। আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক সিপিএমের কথা শোনে না, এটা স্পষ্ট।’’ উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং আসনটিতেও কংগ্রেস প্রার্থী দিচ্ছে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
কংগ্রেসের সঙ্গে আসনরফা নিয়ে সেলিম বলেন, ‘‘কংগ্রেসের সঙ্গে আমরা সহযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে চলেছি এবং চলছি। আমরা চাই, বাংলায় তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী ভোটকে এক জায়গায় করতে। কংগ্রেসও সেই মানসিকতা নিয়ে চলছে। কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনা চলছে। খুব শীগগির গোটা বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’