—ফাইল চিত্র।
দুই বর্ধমানের তিনটে লোকসভা আসনের দু’টিতে সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে। বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে এখনও কারও নাম ঘোষণা হয়নি। অনেকেরই অনুমান, বাম-কংগ্রেসের মধ্যে আসন রফা হলে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনটি কংগ্রেসের হাতে যাবে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার রাত থেকে সামাজিক মাধ্যমে এই আসনে কংগ্রেস প্রার্থীর নাম ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাঁকে ভোট দেওয়ার আবেদনও করা হচ্ছে। যদিও কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, এখনও কোনও কিছুই চূড়ান্ত নয়। কারা এমন ভাবে প্রচার শুরু করল, খোঁজ নেওয়া হবে। সিপিএমের দাবি, বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনটিতে তাঁদেরই প্রার্থী থাকবে। ঘটনাচক্রে, নাম ঘোষণা না হলেও বিজেপি প্রার্থী হিসেবে এই আসনে অগ্নিমিত্রা পালের নামও দুর্গাপুরের দেওয়ালে ফুটে উঠেছে।
এই ছবিই ছড়িয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
সিপিএম কর্মীদের একাংশের দাবি, বর্ধমান পূর্ব, আসানসোলে দল প্রার্থী দিয়েছে। এই আসন বাদ রয়েছে। সেই কারণে প্রচার শুরু করা যাচ্ছে না। প্রার্থী পেয়ে যাওয়ায় প্রচারে তৃণমূল এক কদম এগিয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করেন অনেকে। এই আক্ষেপের মাঝেই সমাজমাধ্যমে খণ্ডঘোষের বাসিন্দা, রাজ্য যুব কংগ্রেস সভাপতি আজ়হার মল্লিকের নাম বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে প্রার্থী হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে। হাত চিহ্নে আজ়হারকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। প্রচারক হিসেবে পূর্ব বর্ধমান জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি মিঠুন সরকারের নাম রয়েছে।
মিঠুনের দাবি, “এখনও নাম ঘোষণা হয়নি ঠিকই, তবে সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভাপতিই প্রার্থী হচ্ছেন। সেই কারণেই সমাজমাধ্যমে প্রার্থীর পরিচয় ঘটানো হচ্ছে। সরকারি ভাবে ঘোষণা হয়ে গেলে প্রকাশ্যে প্রচার করা হবে।” যদিও কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রবীর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এখনও এ ব্যাপারে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কংগ্রেসই যে এই আসনটি পাবে, সেটাও জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না।” আর আজ়হার বলেন, “আমার প্রার্থী হওয়ার কথা রয়েছে। তবে কোন আসন পাব, তা চূড়ান্ত কিছু হয়নি। বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনটি সিপিএম ছাড়বে কি না জানি না।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন, “আর দু’এক দিনের মধ্যেই সব জল্পনা কেটে যাবে।”