গরমে হা-হুতাশ। ছবি: পিটিআই।
একই জেলা থেকেই ১৩ ভোটকর্মীর মৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, তাপপ্রবাহের জেরে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। এই ভোটকর্মীদের প্রত্যেকেরই উচ্চ রক্তচাপ এবং জ্বরের উপসর্গ ছিল বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। কিন্তু তাপপ্রবাহের জেরেই মৃত্যু হয়েছে কি না, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের ঘটনা। ভোটের দায়িত্বে থাকার সময় ন’জন হোমগার্ড এবং চার আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে মা বিন্ধ্যবাসিনী অটোনমাস স্টেট মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ চিকিৎসক রাজ বাহাদুর কমল জানিয়েছেন, যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
হোমগার্ডের কমান্ড্যান্ট বিকে সিংহ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ২৩ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক জন পিএসি জওয়ান, এক জন দমকলকর্মী এবং এক জন পুলিশকর্মী। মির্জাপুরে শেষ দফায় অর্থাৎ শনিবার ভোট চলছে। এই জেলাতেই ভোটের কাজে পাঠানো হচ্ছিল হোমগার্ডে কর্মীদের। ভোটের আগেই ছয় হোমগার্ডের মৃত্যু হয়। বেশ কয়েক জন কর্মী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
হোমগার্ড কমান্ড্যান্টের কথায়, “প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন হোমগার্ডের কর্মীরা। এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে গোন্ডা জেলার দু’জন, প্রয়াগরাজের দু’জন, এক জন বস্তির, দু’জন মির্জাপুরের, এক জন কৌশাম্বীর এবং আই দুই হোমগার্ড জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।” গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে উত্তর ভারত জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। প্রচণ্ড গরমে পুড়ছে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ,পঞ্জাব, হরিয়ানা। তাপমাত্রা কোথাও কোথাও ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে পৌঁছেছে। কানপুরে শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৮.২ ডিগ্রি।
শুক্রবার বিহার প্রশাসন জানিয়েছিল, তাপপ্রবাহের জেরে ৪৮ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। তাঁদের মধ্যে ১০ জন ভোটকর্মী। মৃত ১৮ জনের মধ্যে ১১ জনই রোহতাস জেলার বলে জানা গিয়েছে। বিহারের প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোজপুরে পাঁচ জন ভোটকর্মীর মৃত্যু হয়েছে গরমে। রোহতাসে গরমে মৃত ১১ জনের মধ্যে রয়েছেন তিন জন ভোটকর্মী। তাঁদের মধ্যে দু’জন ভোজপুর এবং এক জন বক্সারে ভোটের কাজে গিয়েছিলেন।