সরকারি টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএল-র মোবাইল সংযোগ নিয়ে হরদমই বিস্তর অভিযোগের কথা শোনা যায়। এই সমস্যায় জেরবার হননি, এমন কাইকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। মোবাইল সংযোগের এই সমস্যা থেকে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করা সাংসদেরাও যে মুক্ত নন তা জানা গেল সোমবার লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন।
সোমবার জিরো আওয়ারে সরকারি টেলিকম সংস্থার সংযোগ সমস্যার প্রসঙ্গ তোলেন ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সাংসদ কে গীতা। তিনি জানান, বিএসএনএল সংযোগধারী সাংসদেরা হরদমই মোবাইলের নেটওয়ার্ক সমস্যায় ভোগেন। বিএসএনএলের বেশির ভাগ টাওয়ার ঠিক ভাবে কাজ করছে না অথবা সেই টাওয়ারগুলি কাজ করার মতো অবস্থাতেই নেই বলে অভিযোগ ওই সাংসদের। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে সমর্থন করেন অন্য সাংসদেরা।
বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সুযোগ দিতেই জোর করে সরকারি টেলিকম সংস্থার সংযোগ সমস্যা জিইয়ে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানান শিবসেনা সাংসদ অরবিন্দ সবন্ত।
বিজু জনতা দলের সাংসদ বলভদ্র মাঝি জানান, সংযোগ সমস্যার কারণে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে বহু পড়ুয়া পরীক্ষার অ্যাডমিশন কার্ড ঠিক সময়ে পাননি।
বিএসএনএল-এর সংযোগের সমস্যার প্রসঙ্গ তোলেন গুজরাতের বিজেপি সাংসদ নারায়ণভাই কাচ্ছাদিয়াও। রীতিমতো পরিসংখ্যান দাখিল করে ওই সাংসদ দেখান, বহু বছর আগে পশ্চিম গুজরাতের প্রায় ৮০০টি গ্রামে মোবাইল টাওয়ার বসানো হলেও বহু এলাকা এখনও মোবাইল সংযোগবিহীন।
সংসদবিষয়ক মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু এই সমস্যার কথা স্বীকার করেন। সমস্যা মেটাতে টেলিকম মন্ত্রককে বিষয়টি জানানো হবে বলে আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।