রাজেন্দ্রকুমার পাচৌরি। ছবি: এপি।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু সংক্রান্ত প্যানেলের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন রাজেন্দ্রকুমার পাচৌরি। মঙ্গলবার তাঁর মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান। কয়েক দিন আগেই তাঁর সংগঠন ‘দ্য এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্স ইন্সস্টিটিউট’(টেরি)তে কর্মরত এক মহিলা পাচৌরির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। দিল্লি পুলিশ এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে পাচৌরিকে বিশ্বের অন্যতম বিশেষজ্ঞ বলে মনে করা হয়। দিল্লির ‘দ্য এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্স ইন্সস্টিটিউট (টেরি)’ প্রধানও তিনি। দীর্ঘ দিন জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে গবেষণা করছেন তিনি ও তাঁর সংগঠন। মানুষের বিভিন্ন কাজের জন্য যে পৃথিবীর উষ্ণতা ক্রমেই বাড়ছে এবং তার নানা কুফল যে চোখে পড়ছে তা বিশ্বের সামনে তুলে ধরায় অন্যতম ব্যক্তি তিনি। এই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে প্রাক্তন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোরের সঙ্গে ২০০৭-এ নোবেল পুরস্কার পায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যানেল।
৭৪ বছর বয়সী পাচৌরি-র বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন তার সংগঠনের ২৯ বছর বয়সী এক মহিলা কর্মী। তাঁর অভিযোগ ছিল, ২০১৩-এ টেরি-তে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁকে নানা ভাবে যৌন হেনস্থা করেছেন পাচৌরি। প্রমাণ হিসেবে এই মহিলা কয়েকশো টেক্সট এবং হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ পুলিশকে দিয়েছেন। তবে এর মধ্যেই গ্রেফতারি এড়াতে আগাম জামিন নিয়েছেন পাচৌরি। তাঁর আইনজীবীর দাবি, পাচৌরির মোবাইল ও কম্পিউটার হ্যাক করে ওই সব ম্যাসেজ পাঠানো হয়েছিল। পদ ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি তদন্তে সুবিধার জন্য টেরি থেকেও বেশ কিছু দিনের ছুটিও নিয়েছেন পাচৌরি। সহকর্মীদের ই-মেল করে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, শীঘ্রই পাচৌরির সহকর্মীদের জেরা করা হতে পারে।
সামনের ডিসেম্বরে বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে প্যারিসে বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানে পাচৌরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি অক্টোবরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যানেলের নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই পদেও তৃতীয় বারের জন্য দাঁড়াচ্ছেন না পাচৌরি।