মোদী-ঝড় রুখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে চান নীতীশ কুমার— এমনই ইঙ্গিত দিল জেডিইউ। দলীয় নেতৃত্ব জানিয়েছেন, একই কারণে তৃণমূল নেতৃত্বও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভবিষ্যতে হাতে হাত ধরারও ইঙ্গিত দিয়েছে দু’পক্ষই।
জেডিইউ সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ লোকসভা ও কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়ের পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মঙ্গলবার টেলিফোনে শুভেচ্ছা জানান নীতীশ। বিহারে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরির পর একই ভাবে জেডিইউ শীর্ষনেতাকে ফোন করে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন মমতা।
দু’দিন আগে জেডিইউয়ের সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগীকে এসএমএস করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। এ দিন ত্যাগী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফেই উনি (ডেরেক) আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। তাতে লিখেছেন— বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে নীতীশজি মুখ্যমন্ত্রী হোন, সেটাই আমরা চাই।” এ নিয়ে ডেরেক বলেন, “জেডিইউয়ের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুব ভাল। নীতীশজি ছাড়াও প্রতি সপ্তাহে আমরা মুলায়ম সিংহ যাদবের সমাজবাদী পার্টি, মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি, কংগ্রেসের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি।” তৃণমূল সূত্রে খবর, অন্য রাজ্যের সম-মনোভাবাপন্ন দলগুলির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই যোগাযোগ রাখবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ দিকে, জিতনরাম মাঁঝির ঘনিষ্ঠ ৭ মন্ত্রীকে দল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করেছে জেডিইউ। এ দিন দলীয় সূত্রে এ কথা জানানো হয়েছে।